ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বহিষ্কার দাবি

রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিমকে বিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও সাজা বহালের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। 

সোমবার (২৮ আগস্ট) সকালে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে এ মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে আব্দুর রশিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

এতে বক্তব্য রাখেন আব্দুর রশিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সদস্য প্রিয় চাকমা, জিকো চাকমা, অভিভাবক সদস্য এরিক চাকমা, দীপন বিকাশ চাকমা ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান প্রমুখ।

তারা বলেন, ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর আব্দুর রশিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের হোস্টেলে এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম। ধর্ষণের দায়ে ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। পরে হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন। গত ২৩ জুন বিদ্যালয়ে আবারও যোগ দেন। তাকে প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার, সাজা বহাল এবং বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি পুনরায় গঠনের  দাবি জানাই আমরা।

প্রিয় চাকমা বলেন, ‘বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির যোগসাজশে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম আবারও বিদ্যালয়ে যোগদানের সুযোগ পেয়েছেন। তাই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠন এবং তাকে প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও সাজা বহালের দাবি জানাই।’

আব্দুর রশিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য এরিক চাকমা বলেন, ‘আব্দুর রহিম বিদ্যালয়ে থাকা মানেই ছাত্রীদের জন্য আতঙ্ক। আমাদের মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে ভয় পাচ্ছি। প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিমকে স্থায়ী বহিষ্কার না করা পর্যন্ত আমরা সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাবো না।’

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান বলেন, ‘একজন শিক্ষক এমন কাজ করতে পারে কেউ কল্পনা করেনি। ছাত্রীরা দিনের বেশিরভাগ সময় বিদ্যালয়ে থাকে। সেই স্থান যদি অনিরাপদ হয়ে উঠে তাহলে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাবে। কাজেই আব্দুর রহিমকে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে।’

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর আব্দুর রশিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের হোস্টেলে এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম। ওই বছরের ৫ অক্টোবর লংগদু থানায় মামলা করে ছাত্রীর পরিবার। ওই মামলায় ধর্ষণের দায়ে ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। পরে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে গত ২৩ জুন বিদ্যালয়ে আবারও যোগ দেন।