চাটখিলে প্রবাসীকে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়, গ্রেফতার ৩

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়নের মজ্জতপুর এলাকা থেকে মো. মাসুদ (৩৮) নামের এক সৌদি আরব প্রবাসীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে অজ্ঞাত এক নারীকে দিয়ে অশ্লীল ও হাতে ইয়াবা দিয়ে ছবি তুলে সেগুলো ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ছালাউদ্দিন কামরান ওরফে আকাশ ও তার দুই সহযোগীকে শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন, চাটখিল উপজেলার পরকোট ইউনিয়নের পশ্চিম শোশালিয়া এলাকার আমিনউল্যাহর ছেলে ছালাউদ্দিন কামরান ওরফে আকাশ (২০), লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার দরবেশপুর ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের হাফিজ পাটোয়ারির ছেলে বাবু হোসেন (৩০) ও একই বাড়ির বনি আমিনের ছেলে দিদার হোসেন জনি (১৮)।

প্রবাসী মাসুদ অভিযোগ করেন, গত ২৫ ডিসেম্বর সকাল ১০ টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে চাটখিল বাজারের উদ্দেশ্যে বের হন। যাওয়ার পথে তিনি চাটখিল-খিলপাড়া সড়কের মজ্জতপুর এলাকা থেকে একটি অটোরিকশায় উঠেন। ওইসময় সিএনজিতে একজন নারী ও একজন পুরুষ ছিলেন। কিছুপথ যাওয়ার পর পাশের ওই নারী ও পুরুষ মাসুদকে ছুরির ভয় দেখিয়ে চোখ, মুখ ও হাত ও বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। ওইস্থানে আরও ১০ থেকে ১২জন তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মাসুদের ব্যবহৃত মোবাইলটি নিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম ও বিবস্ত্র করে নারীর সঙ্গে অশ্লীল ছবি তুলে। ছবিগুলো আমার পরিবারের লোকজনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে মুক্তিপণ বাবদ ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তাদের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মাসুদ তার পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিকাশসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এক লাখ ৫৩ হাজার টাকা অপহরণকারীদের দেন। এক পর্যায়ে মাসুদ অসুস্থ হয়ে পড়লে, অপহরণকারীরা ওইদিন রাতে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে চোখ বাঁধা অবস্থায় মাসুদকে দশঘরিয়া বাজারের পূর্ব পাশের সড়কে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়।

চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে প্রবাসী মো. মাসুদ বাদী হয়ে চার জনের নাম উল্লেখপূর্বক এবং ৪ থেকে ৫ জনকে অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখিত বিকাশ নম্বরের সূত্র ধরে বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে সকালে ছালাউদ্দিন কামরান ওরফে আকাশসহ তিন আসামিকে আটক করা হয়। পরে বিকালে তাদের আদালতে হাজির করলে, বিজ্ঞ আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।