আবদুর রহিম, জাহিদ হোসেন ও মনোয়ারা বেগমসহ কয়েকজন রোগীর সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তারা অভিযোগ করেন, বাইরে থেকে পানি কিনে খেতে হয়। এতে করে ওষুধ সেবন ও তৃষ্ণা মেটাতে বোতলজাত পানিই রোগী ও তাদের একমাত্র ভরসা হয়ে গেছে। এক্ষেত্রে তাদের স্বজনদের ওষুধ কেনার টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে পানি
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ফেনীসহ আশেপাশের চারটি জেলার মানুষের একমাত্র ভরসা ফেনীর ২৫০ শয্যা হাসপাতালটি। এটি আড়াইশ শয্যার হলেও গড়ে প্রতিদিন এখানে আউটডোরে অন্তত এক হাজার রোগী আসেন চিকিৎসা নিতে। আর ভর্তি থাকছেন প্রায় ৪শ’ থেকে ৫শ’ রোগী। প্রায় ৬ মাস ধরে হাসপাতালের পাঁচটি টিউবওয়েলের সবকটি নষ্ট।
ফেনী আড়াইশ’ শয্যা হাসপাতাল আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. আবু তাহের পাটোয়ারি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘গণপূর্ত বিভাগ বিষয়গুলো দেখভাল করার কথা। তারা সময় মতো যথাযথ দায়িত্ব পালন করেন না। এই কারণে এমন সঙ্কটময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এই নিয়ে গণপূর্ত বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আশা করি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।’
সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, ডায়েরিয়া ওয়ার্ডের পাশে দুইটি টিউবওয়েল আছে। একটি স্থায়ীভাবে অকেজো হয়ে রয়েছে কয়েক বছর যাবত। অন্য যেটি সচল ছিল, তাও প্রায় ছয় মাস অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। নতুন ভবনের সামনে ও পেছনে দুইটি টিউবওয়েল থাকলেও একটি স্থায়ীভাবে অচল। অপর সচলটিও ড্রেন নির্মাণজনিত কারণে বর্তমানে সেটিও অচল। এছাড়া লাশ ঘরের পাশের টিউবওয়েলটি অকেজো অবস্থায় পড়ে থাততে দেখা গেছে। হাসপাতালের পুরাতন ভবনের পাশের বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহের জন্য সচল পানির টেপের দেখা মিললেও সেখান থেকে অনেকে না জেনে দুর্গন্ধযুক্ত পানি সংগ্রহ করে পান করছেন ও রোগীদেরও পান করাচ্ছেন। আর যারা জানতে পারছেন, তারা ছুটছেন ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে বোতলজাত পানি কেনার জন্যে।