ভোলার মনপুরা উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ নির্মাণকাজকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ছাত্রদল নেতা মো. রাশেদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি গিয়াস উদ্দিন মিঝিসহ তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি দুজন হলেন- মো. হালিম মিঝি ও মো. কমির মিঝি।
বুধবার (৯ এপ্রিল) ভোলার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আছাদুজ্জামান। এর আগে মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ঢাকার গুলশান এলাকা থেকে পলাতক ওই তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আছাদুজ্জামান জানান, ঘটনার পর থেকে প্রধান আসামি গিয়াস উদ্দিনসহ অন্যান্য আসামিরা পলাতক ছিলেন। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে এদের তিন জনকে ঢাকার গুলশান এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৯ মার্চ মনপুরা উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের নুর উদ্দিন মার্কেট এলাকার একটি নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধের কাজ নিয়ে স্থানীয় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ গুরুতর আহত হন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে সেদিন রাতেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পরদিন ২০ মার্চ নিহতের বড় ভাই মো. আজাদ বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৭-৮ জনকে আসামি করে মনপুরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর থেকেই আসামিরা পলাতক ছিলেন। পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনার সঙ্গে জড়িত মো. রহিম মিঝি, মো. জসিম উদ্দিন মিঝি, আল আমিন ও মামুনসহ চার আসামিকে গ্রেফতার করেন। ঘটনার পর থেকে প্রধান আসামি গিয়াস উদ্দিন মিঝিসহ বাকি আসামিরা পলাতক ছিলেন। এদিকে, আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন।