ডাকাতির সময় ‘চিনতে পেরেছি’ বলায় নারীকে শ্বাসরোধে হত্যা

বরগুনার বামনা উপজেলায় ঘরে ঢুকে ডাকাতির সময় ‘চিনতে পেরেছি’ বলায় ফাতেমা বেগম (৬৮) নামে এক নারীকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় বাড়ির স্বর্ণালঙ্কার ও জমির দলিল লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা। 

বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাতে উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের উত্তর কাকচিড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে লাশ উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কয়েকজন ব্যক্তি এসে ডাকাডাকি  করলে ফাতেমা বেগমের স্বামী খোরশেদ জোমাদ্দার ঘরের দরজা খুলে দেন। ওই ব্যক্তিদের কয়েকজন ঘরে ঢুকেই খোরশেদকে বেঁধে ফেলে। পরে ফাতেমাকে বাঁধার সময়ে চিনতে পেরেছি বলে চিৎকার দেওয়ায় গলা চেপে ধরে ধরলে তিনি মারা যান। পরে ঘরের আলমারি ভেঙে স্বর্ণালঙ্কার ও অন্য মালামাল এবং দলিলপত্র নিয়ে যায় তারা। সকালে প্রতিবেশীরা তাদের সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরে ঢুকে দেখেন হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে আছেন স্বামী-স্ত্রী। প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দিলে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুজন প্রতিবেশী জানিয়েছেন, খোরশেদের দুই ছেলে সৌদিপ্রবাসী। পুত্রবধূরা ঢাকায় থাকায় খোরশেদ ও স্ত্রী ফাতেমা বাড়িতে থাকেন। যেহেতু স্বর্ণালঙ্কার ও জমির দলিলপত্র নিয়ে গেছে, হয়তো তাদের পরিচিত লোকজন এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। এর মধ্যে ফাতেমা ডাকাতদের কাউকে হয়তো চিনতে পেরেছেন। এজন্য হত্যা করা হয়েছে। তবে খোরশেদ ও ফাতেমার সঙ্গে কারও বিরোধ নেই।

বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে ঘটনাটি চুরি নাকি ডাকাতি এখনও বোঝা যাচ্ছে না। তদন্ত করলে জানা যাবে। এখনও মামলা হয়নি। মামলা হলে ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হবে।’