বরগুনার তালতলীতে জাফরুল হাসান সুমন নামে যুবলীগের এক নেতাকে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধর ও নির্যাতন করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। তালতলী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল হকের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন সুমনের বাবা। সোমবার (০৭ অক্টোবর) দুপুরে বিএনপির কর্মীকে মারধরের মামলায় অজ্ঞাত আসামি হিসেবে গ্রেফতার দেখিয়ে সুমনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে রবিবার রাতে তালতলী শহরের পশ্চিম মাথায় মুক্তিযোদ্ধা সড়কে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে সুমনকে মারধর করা হয়। ওই ঘটনার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। সুমন তালতলী উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। তার বাবা মোসলেম আলী হাওলাদার তালতলী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার।
মোসলেম আলী হাওলাদার অভিযোগ করেন, রবিবার রাত ৮টার দিকে তালতলী শহরের উজ্জ্বল চত্বর থেকে মোটরসাইকেলে করে সুমন বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়। তখন বিএনপি নেতা শহিদুল হকের ছেলেসহ আরও সাত-আট জন তাকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে মারধর শুরু করেন। তারা তাকে শহিদুল ইসলামের বাসার সামনে নিয়ে যান। সেখানে বেধড়ক মারধর ও জুতাপেটা করা হয়। মারধরের সময় শহিদুল হক সেখানে উপস্থিত ছিলেন। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিএনপির লোকজন আমার ছেলেকে মারধর করেছে।’
সুমনকে মারধরের সঙ্গে জড়িত নন দাবি করে শহিদুল হক বলেন, ‘৩০ সেপ্টেম্বর বিএনপির দুজন কর্মীকে হাতুড়িপেটা করার সময় সুমন উপস্থিত ছিল। রবিবার রাতে আবার মারধরের প্রস্তুতি নিচ্ছিল, এ সময় স্থানীয় জনতা ধরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করে। যাদের হাতুড়িপেটা করা হয়েছে, তারা সুমনকে পুলিশে দিয়েছে।’
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কালাম খান বলেন, রবিবার রাতে বিএনপি নেতাদের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে পুলিশ শহরের মুক্তিযোদ্ধা এলাকা থেকে সুমনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ৩০ সেপ্টেম্বর তালতলীতে একটি মারধরের ঘটনায় দুলাল নামের এক ব্যক্তি মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় সুমনকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে গ্রেফতার দেখিয়ে সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘মারধরের ঘটনাটি শুনেছি। এটি দুঃখজনক। এ রকম আচরণ করলে আমাদের দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিষয়টি আমি মৌখিকভাবে কেন্দ্রীয় নেতাদের জানিয়েছি। জেলা কমিটি না থাকায় আমরা কোনও পদক্ষেপ নিতে পারছি না।’