ঢাবিতে পিটিয়ে হত্যা

মা-বাবা ও ভাইয়ের পাশে শায়িত তোফাজ্জল, অশ্রুসিক্ত বিদায়

বরগুনার পাথরঘাটায় শত শত মানুষের উপস্থিতিতে জানাজা শেষে অশ্রুসিক্ত বিদায় দেওয়া হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মারধরে হত্যার শিকার তোফাজ্জলকে। পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন মা-বাবা ও ভাইয়ের পাশে।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টায় শতকর তালুকদার বাড়ি জামে মসজিদের সামনে প্রথম এবং সকাল ৯টায় চরদুয়ানী কারিমুল কোরআন মাদরাসার সামনে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

জানাজার আগে পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন মাওলানা মুফতি ফয়সাল। তিনি বলেন, ‘আমি ওর মা-বাবার জানাজা নামাজ পড়িয়েছি। আজকে যে ওর জানাজা আমার পড়াতে হবে, তা আমি ভাবতে পারিনি। আমার আশা ছিল, তোফাজ্জল আমার জানাজায় অংশগ্রহণ করবে। কিন্তু বিধাতার কী করুণ পরিহাস, ওর জানাজাই আমার পড়াতে হলো।’ এ সময় হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন তিনি।

তোফাজ্জলের নামাজে জানাজা

নিহত তোফাজ্জলের চাচাতো ভাই ফারুক মিয়া বলেন, ‘তোফাজ্জল হত্যার মূলহোতাদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমরা এমন নির্মম হত্যাকাণ্ড আর দেখতে চাই না।’

পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পাথরঘাটা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হোসেন বলেন, ‘তোফাজ্জলের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল আপন ভাইয়ের মতো। খুব ভালোভাবেই কাটছিল তোফাজ্জলের জীবন। হঠাৎ এমন হয়ে যাবে তা ভাবতে পারছি না।’ এ সময় হত্যাকারীদের বিচার দাবি করেন তিনি।

এর আগে, গত বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে আটকে রেখে শারীরিকভাবে নির্যাতন করায় তোফাজ্জল মারা যায়। তোফাজ্জল বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নের তালুকের চরদুয়ানী গ্রামের মৃত আবদুর রহমান হাওলাদারের ছেলে।