কুয়াকাটা সড়কের বেহাল দশা, ক্ষুব্ধ পর্যটন ব্যবসায়ীরা

পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা থেকে পাখিমারা পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার সড়ক দিন দিন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। এতে পর্যটন খাত হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। দীর্ঘদিন যাবৎ সড়ক সংস্কার না করায় পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) শেষ বিকালে কুয়াকাটার লতাচাপলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে কুয়াকাটার সকল ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় কীভাবে দ্রুত এ সকল সমস্যার সমাধান করা যায়, তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়।

ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কে এম বাচ্চু বলেন, ‘প্রায় দশ বছর যাবৎ এই রাস্তাটি সংস্কারের নামে বিভিন্ন সময় তামাশা করে আসছেন সংশ্লিষ্টরা। নানা অনিয়ম, দুর্নীতি আমরা লক্ষ করেছি। কুয়াকাটার ব্যবসায়ীরা দিনের পর দিন লোকসান গুনে আসছে শুধু রাস্তা ও ব্রিজের এই বাজে অবস্থার কারণে। আমাদের আর অপেক্ষা করার সময় নেই। দ্রুত যেকোনও পদক্ষেপ নিতে হবে।’

ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, ‘১১ কিলোমিটার সড়কের বর্তমান যে অবস্থা তা বলে বোঝানো যাবে না। সড়কটি বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগী। বছরের পর বছর সড়কের এমন অবস্থা দেশের কোথাও আছে কি না জানা নেই। কিন্তু কুয়াকাটা দেশের একটি পর্যটনশিল্প যেখানে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার দেশি-বিদেশি পর্যটক আসা-যাওয়া করেন। সেই সড়কটিতে এমন বাজে অবস্থা হওয়াতে কোটি কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। বর্তমানে অনেক আবাসিক হোটেল বিদ্যুৎ বিল দিতে পারছে না, স্টাফ চাকরি হারাচ্ছে। এটি পর্যটনশিল্পের অনেক বড় হুমকি। দ্রুত এই রাস্তাটি সংস্কারের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে যেতে হবে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পর্যটন খাতে বিনিয়োগকারী হাসনুর ইকবাল, জামাল মাস্টার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুয়াকাটা শাখার প্রতিনিধি মোহাম্মদ মহিমসহ কুয়াকাটা আবাসিক হোটেলে মালিক সমিতি, কুয়াকাটা হোটেল রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি, ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন, কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট, কুয়াকাটা হোটেল মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন, শুভ সংঘ ক্লাব, ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতি, কুয়াকাটা প্রেসক্লাব, কুয়াকাটা ইজিবাইক সমিতি ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।