কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নিজেদের ‘রাজাকার’ উল্লেখ করে স্লোগান দেওয়া শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করে শাস্তি ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছে ‘মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি’র শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৫ জুলাই) বিকালে ভোলা প্রেসক্লাবের সামনে ‘মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি’ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে এসব দাবি জানান তারা। এ সময় ভোলার মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান-নাতি, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিতি ছিলেন।
এ সময় তাদের ‘একাত্তরের রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়, ২৪ এর রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’, ‘জয় বাংলা’ বলে স্লোগান দিতে দেখা যায়। প্রতিবাদ সমাবেশ ছাত্রলীগ, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা, নাতিরা অংশ নেন।
এ সময় বক্তরা বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে এসে নিজেদের রাজাকার বলে দাবি করা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। আমরা এই স্বঘোষিত নব্য রাজাকারদের চিহ্নিত করে শাস্তি ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবি জানাই।
এ সময় বক্তরা বলেন, যারা দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে যারা প্রকাশ্যে নিজের আত্মপরিচয়, জন্মপরিচয়, ব্যক্তিত্ব বিসর্জন দিয়ে, ‘তুমি কে, আমি কে; রাজাকার! রাজাকার!’ স্লোগান দিয়েছে, এরা সবাই এই যুগের রাজাকার। তাই এদের সবাইকে চিহ্নিত করে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা করার দাবি জানান।
তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি এবং রাজাকারদের সমর্থনকারী কার্যকলাপ আইনি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। এ জন্য সরকার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর উচিত এই ধরনের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং জাতীয় সংহতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।
এ সময় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন- মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও ভোলা জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আজিজ মেহরাব মোল্লা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও ভোলা জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মাশরুর মাহামুদ নিলয়, সরদার রিহান প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন- ভোলা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইমরান হোসেন কিরণ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়সালসহ শিক্ষার্থীরা।