মহাসড়কে ইজিবাইক-রিকশা, গন্তব্যে যেতে দুই ঘণ্টা দেরি

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কুয়াকাটা-ভাঙ্গা মহাসড়কে অবাধে চলছে ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশাসহ ধীরগতির তিন চাকার যানবাহন। এতে সময়মতো বিপাকে পড়েছে  ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীবাহী পরিবহন। পথেই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে ঘরে ফেরা মানুষের। এ নিয়ে হতাশ প্রকাশ করেছেন দূরপাল্লার পরিবহন চালক ও যাত্রীরা।

রবিবার (১৫ জুন) সকালে কুয়াকাটা- বরিশাল মহাসড়কে দেখা গেছে, বাসগুলোতে ঘরে ফেরা মানুষের ভিড় রয়েছে। এসব যাত্রীদের  সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে মহাসড়কে ধীরগতির তিন চাকার যানবাহন। সরকারি সিদ্ধান্ত থাকলেও প্রশাসনের যথাযথ পদক্ষেপের অভাবে মহাসড়কে বন্ধ হচ্ছে না ধীরগতির এসব যান চলাচল।

শ্যামলী পরিবহনের চালক সোহেল বলেন, ভাঙ্গার পর থেকেই মহাসড়কে অবাধে চলছে অটোরিকশা, ইজিবাইক, সিএনজি ও মাহিন্দ্রসহ ধীরগতির তিন চাকার সব ধরনের যানবাহন। এতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী পরিবহনগুলো পটুয়াখালী পৌঁছাতে দুই ঘণ্টা বিলম্ব হয়। গরমে যাত্রীরা বিরক্ত হয়ে যান।

road2

তিনি আরও বলেন, তিন চাকার এসব যানবাহনের মধ্যে কোনও নিয়ম-শৃঙ্খলা নেই। সড়কে দাঁড়িয়ে থাকে। তাছাড়া চালকরা দক্ষ না, এতে প্রায় সময় দুর্ঘটনা ঘটে। মহাসড়কে এসব যানবাহন বন্ধে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও প্রসাশনের যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

গ্রিন লাইন পরিবহনের চালক কামরুল ইসলাম বলেন, মহাসড়কে অটোরিকশা ও ইজিবাইকসহ ধীরগতির যানবাহন অতিরিক্ত থাকার কারণে ঢাকা থেকে কুয়াকাটা পৌঁছাতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। যাত্রীরা আমাদের সঙ্গে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়ে যায়। মহাসড়কে এসব যানবাহন না থাকলে পাঁচ ঘণ্টায় কুয়াকাটা পৌঁছানো সম্ভব। তাছাড়া এত দুর্ঘটনাও ঘটতো না। মহাসড়ক থেকে তিন চাকার ধীরগতির যানবাহন বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

road3

রোমার পরিবহনের যাত্রী মারিয়া বলেন, ঢাকা থেকে পটুয়াখালী আসতে সাড়ে ৬ ঘণ্টা সময় লেগেছে। সড়কে ছোট ছোট যানবাহনের কারণে পরিবহন ধীরগতিতে চলতে হয়েছে। এতে অন্য সময়ের চেয়ে তিন ঘণ্টা সময় বেশি লেগেছে। গরমে সেদ্ধ হয়ে গেছি। দুই মাস আগেও এসব পরিবহন তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টায় ঢাকা-পটুয়াখালী আসা যাওয়া করতে। বর্তমানে খারাপ অবস্থা, ভাঙ্গার পর থেকে সড়কে ইজিবাইক ও রিকশায় জ্যাম লেগে থাকে।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সহ-সভাপতি গোলাম মাওলা দুলু মৃধা বলেন, মহাসড়কে অতিরিক্ত ইজিবাইক ও অটোরিকশা চলছে। এতে বাস চলাচলে অনেক সমস্যা হচ্ছে। এদের ইজিবাইকের সংখ্যা অনেক বেশি এতে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও প্রশাসন তাদের কাছে অসহায়।

পটুয়াখালী পুলিশ সুপার সাইদুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচলের বিষয় পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের চাওয়া অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিগগিরই এসব যান চলাচল বন্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।