ডুবে গেছে ভোলার অনেক এলাকা, বড় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ভোলার অনেক এলাকায় পানি প্রবেশ করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে জেলার চরফ্যাশন উপজেলায়। প্লাবিত হয়ে জেলায় ২০ হাজার মানুষ ঘরবন্দি রয়েছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে ৩৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

জানা যায়, সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের রামদাসপুর, ভোলার চর, কানিবগার চর, চর মোহাম্মদ; চরফ্যাশন উপজেলার মুজিবনগর ইউনিয়ন; লালমোহন উপজেলার চর কচুয়া, চর শাহাজালাল; তজুমদ্দিন উপজেলার চর মোজাম্মেল, চর জহিরুদ্দিন; বোরহানউদ্দিন উপজেলার গঙ্গাপুরসহ ৭৪টি দুর্গম চরাঞ্চলে ২০ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

ভোলা১১১

জেলা দুর্যোগকালীন কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে, ভোলার আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ ও প্রায় দুই হাজার গবাদি পশু আশ্রয় নিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে আসা মানুষদের শুকনো খাবার সরবরাহ করা হয়।

রাত ৯টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত জেলার কোথাও মাঝারি কোথাও ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। চরফ্যাশন উপজেলার কুকরিমুকরি ও ঢালচরে অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাত ১২টায় বৃষ্টি না থাকলেও দমকা হাওয়া বইছে। রাত সাড়ে ৯টার পর থেকে পুরো জেলা অন্ধকারে নিমজ্জিত।

ভোলা১১১১

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের নগদ ১১ লাখ ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা রয়েছে। এ ছাড়া চাল রয়েছে ২২২ টন, ঢেউটিন ২১৪ বান্ডিল, গৃহ নির্মাণ বাবদ ছয় লাখ ৪২ হাজার টাকা ও শুকনো খাবার দুই হাজার ২২৩ প্যাকেট রয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো. আরিফুজ্জামান জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছি। বেশ কিছু নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। ওই সব উপকূলের মানুষকে নিরাপদে আনা হয়েছে।