বরিশালের নতুন মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত।

সর্বমোট ১২৬টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ পেয়েছেন ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮২৮ ভোট।

সোমবার (১২ জুন) রাত ৯টার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে স্থাপিত ফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র থেকে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, ‘বরিশাল সিটি করপোরেশনে মোট ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন ভোটার। ভোট পড়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার ১৭৭। শতকরা ভোটের হার ৫১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এবার ১২৬টি কেন্দ্রের ৮৯৪টি বুথের সব কটিতেই ইভিএমে ভোট হয়েছে। হিসাবে অর্ধলাখের বেশি ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী।’

এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। দিনব্যাপী কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ শেষে শুরু হয় গণনা। সন্ধ্যা ৬টা থেকে আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা শুরু করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

এদিকে, ফল ঘোষণা শুরুর কিছুক্ষণ পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে নগরীর চাঁদমারীর দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বরিশাল ও খুলনা সিটির ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করেছে ইসলামী আন্দোলন। একইসঙ্গে আগামী ২১ জুন হতে যাওয়া সিলেট ও রাজশাহী সিটির ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে দলটি। এই ঘোষণা দেন দলটির আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

এই নির্বাচনে সাত জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এরমধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান টেবিল ঘড়ি প্রতীকে পেয়েছেন সাত হাজার ৯৯৯, জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন লাঙল প্রতীকে পেয়েছেন ছয় হাজার ৬৬৫, জাকের পার্টির মিজানুর রহমান গোলাপ ফুল প্রতীকে দুই হাজার ৫৪৬, স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদুজ্জামান হাতি প্রতীকে এক হাজার ৫২৯ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আলী হোসেন হাওলাদার হরিণ প্রতীকে ২ হাজার ৩৮১ ভোট পেয়েছেন।