ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় ভোলায় মাইকিং, প্রস্তুত ৭৪৬ আশ্রয়কেন্দ্র

ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় ভোলার সাত উপজেলায় ৭৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র এবং ছয়টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে উপকূলীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করে মাইকিং করা হয়েছে। সেইসঙ্গে দুর্গতদের সেবা দিতে ৯৩টি মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত আছে। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ১৩ হাজার ৬০০ সদস্য ও রেড ক্রিসেন্টের প্রায় পাঁচ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খোলা হয়েছে আটটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। 

শনিবার (১৩ মে) দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী। তিন স্তরের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক বলেন, ‌‘আমরা ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য দুর্যোগের আগে, দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী তিন স্তরের প্রস্তুতি নিয়েছি। জেলা প্রশাসনের কাছে আট লাখ টাকা, ৩৫০ মেট্রিক টন চাল, ১৬৪ বান্ডিল টিন ও ঘর নির্মাণের জন্য চার লাখ ৯২ হাজার টাকা রয়েছে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ঘর নির্মাণের জন্য ১৫ লাখ টাকা, ৫০০ বান্ডিল টিন ও পাঁচ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবারের চাহিদা পাঠানো হয়েছে।’

সাত উপজেলায় প্রস্তুতি সভা হয়েছে জানিয়ে তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী বলেন, ‘মোখার ক্ষয়ক্ষতি ও ঝুঁকি কমানোর লক্ষ্যে জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।’

এদিকে, বরিশাল, ভোলা ও পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় ১১ জেলার জন্য ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ঘোষণা করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার সকাল থেকে জেলার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। নদীতে স্বাভাবিক মাত্রার জোয়ার রয়েছে। সকালে বঙ্গোপসাগর নিকটবর্তী চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলায় বৃষ্টি হয়েছে।