নিহত সাবিনা ওই উপজেলার পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের দিয়াসুর এলাকার কাতার প্রবাসী শফিকুল ইসলামের স্ত্রী। তিন সন্তানের জননী সাবিনা পার্শ্ববর্তী মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর এলাকার সাহেব আলীর মেয়ে। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। কাতার প্রবাসী স্বামীর সহায়তায় বিদেশে লোক পাঠাতেন সাবিনা।
শুক্রবার বেলা ১২টায় নগরীর রূপাতলীতে পিবিআই কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির বলেন, গত ২০ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে গৌরনদীর ভূরঘাটা বাসস্ট্যান্ডে একটি বাসের ছাদ থেকে ব্যারেলের মধ্য বোরকা পরা অজ্ঞত পরিচয়ের নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিনই নারীর পরিচয় উদ্ধার করা সম্ভব হলেও হত্যাকারীর পরিচয় উদঘাটন কিংবা তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
সাবিনার দেবর মনির হাওলাদার জানান, কাতার যাওয়ার জন্য খালেক হাওলাদার তার ভাবির (সাবিনা) কাছে ৪ লাখ টাকা দেয়। বিদেশ পাঠাতে বিলম্ব হওয়ায় একপর্যায়ে খালেক টাকা ফেরত চায়। সাবিনা তাকে দেড় লাখ টাকা ফেরত দেয়। বাকি আড়াই লাখ টাকা পায় খালেক।পাওনা টাকার জন্য বিভিন্ন সময় তাগাদা দিতো খালেক। বিদেশ যেতে না পেরে সে নগরীর কাশীপুর আনসার ব্যাটালিয়ন অফিস সংলগ্ন ভূঁইয়া বাড়ি মসজিদের পাশে মাহিলাড়ার বাসিন্দা ব্যাংকার সচীন রায়ের নির্মাণাধীন ভবনে ম্যানেজার হিসেবে কাজ নেয়।
প্রসঙ্গত, ২০ নভেম্বর বাসটি গৌরনদীর ভূরঘাটায় যাওয়ার পর কেউ ব্যারেল নিতে না যাওয়ায় বাস শ্রমিকদের সন্দেহ হয়। পরে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে ব্যারেল খুলে মরদেহ দেখে বাসের হেলপার। এরপর পুলিশকে খবর দিলে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে সাবিনার মুঠোফোন ট্র্যাকিং করে পুলিশ তার পরিচয় জানতে পারে। এরপর দেবর মনির এসে তার ভাবি সাবিনার মরদেহ শনাক্ত করেন।