বাগেরহাটে আদালত চত্বর থেকে হত্যা মামলার সাক্ষীকে অপহরণের চেষ্টা

বাগেরহাটবাগেরহাটে হত্যা মামলার সাক্ষীকে আদালত চত্বরে বেধড়ক পিটিয়ে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও তার বসতঘরে অগ্নিসংযোগ করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। আহত জ্যোতিষ বিশ্বাসকে (৫২) স্থানীয়রা উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। গতকাল সোমবার বিকেলে বাগেরহাট আদালত চত্বরে এই হামলা এবং তার বসতঘরে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে।

আহত জ্যোতিষ বিশ্বাস বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার আমবাড়ি গ্রামের মৃত দুর্লভ বিশ্বাসের ছেলে।

মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জ্যোতিষ বিশ্বাস জানান, ২০১৮ সালের ৯ মে আমবাড়ি গ্রামের মোসাদ শেখকে প্রতিপক্ষ হত্যা করে। ওই হত্যা মামলার তিনি প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী। কিছু দিন আগে আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে এসেছে। সোমবার ওই মামলার ধার্য তারিখ ছিল। এজন্য তিনি বাগেরহাট আদালতে এসেছিলেন। বিকেলে আদালত চত্বরের মসজিদের কাছে থাকা ইজিবাইকে ওঠার সময় ওই মামলার আসামি শাজাহান সরদারের নেতৃত্বে ৭-৮ জন সন্ত্রাসী তাকে মারধর ও তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে।

তিনি বলেন, সোমবার গভীর রাতে প্রতিপক্ষের লোকজন তার তালবদ্ধ বসতঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে এলাকাবাসী ছুটে এসে নিভিয়ে ফেলে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বাগেরহাট শহরের হরিণখানা এলাকার খোকন বলেন, ‘আদালত চত্বরে একদল লোক এক লোককে মারধর করে টেনেহিঁচড়ে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছে দেখে আমরা কয়েকজন মিলে তাদের ধাওয়া দেই। পরে তারা চলে গেলে ওই লোককে উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।’

বাগেরহাট সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত ডা. মো. এলাহী শেখ বলেন, ‘জ্যোতিষ বিশ্বাসের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার নিচের ও ওপরের পাটির দাঁতে গুরুতর আঘাত রয়েছে। এজন্য ডেন্টাল বিভাগে তাকে রেফার করা হয়েছে।’

আহত জ্যোতিষ বিশ্বাসের ভাই খিতিশ বিশ্বাস বলেন, ‘রাতে ভাইয়ের ঘরে আগুন দেখে চিৎকার দিলে গ্রামবাসী ছুটে এসে দরজা ভেঙে অনেক চেষ্টা করে আগুন নিভিয়ে ফেলে। ওই ঘরের পাশে একটি পেট্রোলের বোতল দেখতে পাই। ঘর থেকে পেট্রোলের গন্ধ বের হচ্ছিল।’ জ্যোতিষ ঘরে আছে ভেবে তাকে পুড়িয়ে হত্যা করার জন্য আগুন দিয়েছিল বলে তিনি জানান।

চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অনুকূল সরকার বলেন, ‘আগুনের খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।’