চারুকলা ইনস্টিটিউটকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) মূল ক্যাম্পাসে ফেরাতে টানা ২০ ঘণ্টা ধরে অনশনে রয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে সরেজমিন দেখা যায় চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনশনরত আছেন।
সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ৩টা থেকে শিক্ষার্থীরা অনশন শুরু করেন। এর আগে, দুপুর ১২টা থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
অনশনে আছেন নয় জন শিক্ষার্থী। তারা হলেন– ২০২১-২২ সেশনের শাহরিয়ার হাসান সোহেল, ২০১৭-১৮ সেশনের খন্দকার মাসরুল আল ফাহিম, ২০১৯-২০ সেশনের নূর ইকবাল সানি, ২০২২-২৩ সেশনের ইসরাত জাহান ইয়ামিন, একই সেশনের মালিহা চৌধুরী, ইসরাত জাহান, নুসরাত জাহান ইপা, ২০২৩-২৪ সেশনের তরিকুল ইসলাম মাহী ও একই সেশনের মাহমুদুল ইসলাম মিনহাজ।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে গত বছরের ডিসেম্বরে জানানো হয়েছিল, এ বছরের ৩১ মার্চের মধ্যেই এই স্থানান্তর সম্পন্ন করা হবে। সেই সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও এখনও কোনও দৃশ্যমান উদ্যোগ লক্ষ করা যায়নি। প্রশাসনের দেওয়া সময় পেরিয়ে গেছে অনেক আগেই। আমরা বারবার আশ্বাস পাচ্ছি, কিন্তু কোনও দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।’
জানতে চাইলে অনশনরত শিক্ষার্থী ফাহিম বলেন, ‘আমরা ২০ ঘণ্টা ধরে অনশনে আছি। প্রশাসনের অনেকেই আমাদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন। আমাদের দাবি, একটা যৌক্তিক সমাধানের মাধ্যমে চারুকলা ইনস্টিটিউটকে যেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনা হয়। এখনও কেন এই কাজে বিলম্ব হচ্ছে, এটা আমাদের প্রশ্ন। আমরা এত সময় ধরে অনশনরত আছি কিন্তু চারুকলা ইনস্টিটিউট নিয়ে প্রশাসনের কাছ থেকে কোনও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখছি না।’
গত ১২ ডিসেম্বর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান ঘোষণা দেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই চারুকলা ইনস্টিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনা হবে এবং শিক্ষার্থীরা ১ এপ্রিল থেকে নতুন জায়গায় ক্লাস করতে পারবেন। তবে সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন এখনও হয়নি, বরং চারুকলার বিষয়ে কথা বলতে নারাজ চবি প্রশাসন।