নাটোরে ছাত্রলীগকর্মীকে পিটিয়ে শহর ঘোরানোর ঘটনায় ৩ ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা

নাটোরে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের এক কর্মীকে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই নির্যাতনের ভিডিও সামজিক মাধ্যমে ভাইরাল এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর এই মামলা দায়ের করা হলো।

সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে নির্যাতনে আহত ছাত্রলীগকর্মী ফয়সাল হোসেন কদরের (২৫) বাবা খায়রুল আলম বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি এসএম জোবায়ের, নাটোর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি রিমন ও সাধারণ সম্পাদক নাঈমসহ অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।

নাটোর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুর রহমান বলেন, ‘রবিবার ফয়সাল হোসেন কদরকে মারধরের ঘটনায় তার বাবা সোমবার দুপুরে বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। রবিবারই ঘটনাটি নজরে আসলে অভিযুক্তদের আটকে পুলিশ ও সেনাবাহিনী অভিযান চালায়। তবে কেউ গ্রেফতার হয়নি। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

রবিবার এ ঘটনার ভিডিওতে দেখা যায়, নাটোর জেলা ছাত্রলীগের কর্মী ফয়সাল হোসেন কদরকে অটোরিকশায় করে পিটিয়ে গান বাজিয়ে ভিডিও ধারণ করে শহরে ঘোরানো হচ্ছে।

ভুক্তভোগী ছাত্রলীগকর্মী কদর বলেন, ‘আমি ফায়ার সার্ভিসের মোড় থেকে বাড়ি ফেরার সময় পেছন থেকে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে নাটোর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি নাঈম ও সাধারণ সম্পাদক রিমন। তারা সবাই নবাব সিরাজ-উদ-দ্দৌলা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি জুবায়ের সঙ্গে রাজনীতি করে। আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই রিকশায় তুলে আমাকে শুইয়ে বারবার মারছিল। এ সময় আমার পকেটে থাকা মানিব্যাগের সব টাকাও নিয়ে নেয় তারা। এভাবে পুরো শহর ঘোরায়। আমি বারবার বলছিলাম, আমার অপরাধ কী? তারা বলছিল, “তুই ছাত্রলীগ করিস, এটাই তোর অপরাধ।” পরে লিখিত মুচলেকা নিয়ে আমার মা-বাবার কাছে তুলে দেয় তারা।’

এ বিষয় নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি এসএম জুবায়ের বলেন, ‘ছাত্রদলের কিছু কর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে (কদরকে) মারধর করছিল। আমি তাকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে তুলে দিই। বিষয়টি আসলে ভালো হয়নি।’