গাজীপুরে তুসুকা গার্মেন্টসের শ্রমিকদের কর্মবিরতি ও বিক্ষোভের দ্বিতীয় দিন

গাজীপুরে একটি পোশাককারখানার শ্রমিকরা রবিবার দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করেছেন। তারা কারখানার প্রধান গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। বকেয়া পরিশোধ, ছুটি সংক্রান্ত বিষয় ও শ্রমিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা। দাবি মেনে নেওয়া না হলে লাগাতার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। মহানগরীর কোনাবাড়ীতে তুসুকা গ্রুপের শ্রমিকরা এ কর্মসূচি পালন করেন।

আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানায়, রবিবার সকালে মহানগরীর কোনাবাড়ির তুসুকা গ্রুপের শ্রমিকরা কারখানায় এসে কাজে যোগ না দিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেন। সে সময় তারা কারখানার ভেতরে অবস্থান নিয়ে বিজিএমইএ কাঠামো অনুযায়ী বেতন কাঠামোর শতভাগ গ্রেডিং করা, ঈদের ছুটিতে জেনারেল ছুটি না কাটিয়ে পূর্ণ ছুটি প্রদান, বাৎসরিক পিকনিকের (বনভোজন) আয়োজন, উপকারে স্বজনপ্রীতি বন্ধ, চাকরির মেয়াদ অনুযায়ী ছুটির অর্থ পরিশোধ, চলতি মাসেই বকেয়া বেতন পরিশোধ, শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এ সময় শ্রমিকরা তাদের দাবি পূরণ না হলে লাগাতার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন। বিকাল পর্যন্ত তারা কারখানায় অবস্থান করে বিক্ষোভ করছিলেন। এর আগে শনিবারেও তারা একই দাবিতে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করেন। এক পর্যায়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে কারখানার গেটে একটি নোটিশ টানিয়ে দেয়।

তুসুকা গ্রুপের পরিচালক তারেক হাসান বলেন, ‘শ্রমিকদের গতকাল যে দাবি ছিল তা পুরোপুরি মেনে নিয়ে আমরা নোটিশ দিয়ে দিয়েছি। আজ খোলা রাখা হয়েছিল তবুও তারা কর্মবিরতি দিয়ে বিক্ষোভ করছেন। আমরা কোনও শ্রমিক ছাঁটাই করি না এবং শ্রমিক আইন অনুযায়ী সবকিছুই করা হয়ে থাকে।’

তিনি আরও জানান, শ্রম আইন অনুযায়ী এ কারখানা পরিচালিত হচ্ছে এবং কোনও শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়নি। শ্রমিকদের যেসব যৌক্তিক দাবি রয়েছে তা নিয়ে আলোচনা করে সমাধান করা হবে। তবে আন্দোলনের পেছনে বহিরাগতদের উসকানি রয়েছে।’ এদিন শ্রমিকরা কারখানার প্রধান গেটসহ বিভিন্ন জায়গায় তালা লাগিয়ে দেন বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে গাজীপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের এসপি এ কে এম জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘কারখানার শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবি নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কারখানার আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।’