খাগড়াছড়িতে অপহৃত ৫ শিক্ষার্থীসহ ছয় জনকে উদ্ধারে অভিযান চলছে

খাগড়াছড়িতে অপহৃত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পাঁচ শিক্ষার্থীসহ ছয় জনকে উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনী। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) ভোর থেকে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে জেলা সদরের মধুপুর, পানখাইয়া পাড়া, চাবাই সড়ক নোয়াপাড়া এলাকায় এ অভিযান চালায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ। উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে বলেও জানায় যৌথবাহিনী সূত্র।

অভিযানের সময় যৌথবাহিনীকে জেলা সদরের বিভিন্ন এলাকায় টহল দিতে দেখা গেছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।

এদিকে, অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীসহ ছয় জন তিন দিনেও উদ্ধার না হওয়ায় উদ্বেগ-উৎকন্ঠা বাড়ছে পরিবারে।

খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানান, অপহৃতদের উদ্ধারে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে শুক্রবার সকাল থেকে জেলা শহরের পানখাইয়া পাড়া, মধুপুর ও নোয়াপাড়া এলাকাসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে যৌথ অভিযান চালানো হয়েছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন সড়কে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান বলেন, ‘আমাদের এখন মিশন ও ভিশন হচ্ছে, অপহৃত শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা। পাহাড়ে যারা চাঁদাবাজিসহ নানা অরাজকতা করছে, তাদের নির্মূল না করা পর্যন্ত সেনাবাহিনীর অভিযান চলবে।’

বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকালে বৈসাবি উৎসব শেষে ফেরার পথে খাগড়াছড়ি-পানছড়ি সড়কের গিরিফুল এলাকা থেকে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সদস্য চবি শাখার রিশান চাকমাসহ আরও পাঁচ শিক্ষার্থীসহ ছয় জনকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করা হয়। রিশান চাকমা চবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী। অপর অপহৃতরা হচ্ছে, চবির চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা, প্রাণীবিদ্যা বিভাগের লংঙি ম্রো ও  চারুকলা বিভিগের অলড্রিন ত্রিপুরা।