কিশোরী জান্নাতি হত্যার ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ। বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনায় অভিযুক্ত বেলাল হোসেন নামে একজনের বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকা-বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। পরে কালীগঞ্জ থানা ঘেরাও করে জান্নাতির সহপাঠী ও সাধারণ জনতা।
বুধবার সন্ধ্যার পর লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়নের চরশৌলমারীর ভুট্টাক্ষেত থেকে হাত-পা ভাঙা অবস্থায় ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া ওই কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে ওই এলাকার ফজু মিয়ার মেয়ে।
এলাকাবাসী, পরিবার, পুলিশ জানায়, বুধবার সন্ধ্যায় চুলায় রান্না বসিয়ে জান্নাতিকে তা দেখতে বলে কিছুটা দূরে থাকা বাবার বাড়িতে যান তার মা। এ সময় বাড়িতে অন্য কেউ ছিল না। কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে বাড়িতে মেয়েকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তার মা। পরে বাড়ির পাশের ভুট্টাক্ষেতে লাশ দেখতে পান।
এ ঘটনায় বেলাল হোসেন নামে একজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন মৃতের বাবা ফজলুল হক। এ মামলায় পুলিশ রাতেই অভিযুক্ত যুবক বেলাল হোসেনকে গ্রেফতার করে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মালিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘মৃত জান্নাতীর মুখ থেকে গলা পর্যন্ত মাটি ঢুকিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে ঘাতকরা। প্রাথমিক পর্যায়ে ধর্ষণের কোনও আলামত পাওয়া যায়নি। তবে মৃতের ভাইয়ের সঙ্গে গ্রেফতার যুবকের ভাইয়ের দ্বন্দ্ব রয়েছে। তাদের এ পারিবারিক কলহের জেরে এটি হতে পারে বলেও ধারণা করে তদন্ত করা হচ্ছে।’