চট্টগ্রামে পুলিশের ওপর হামলায় জড়িত ছিনতাইচক্রের হোতা গ্রেফতার

চট্টগ্রাম নগরীর বারেক বিল্ডিং মোড়ে পুলিশের ওপর হামলায় জড়িত ছিনতাইকারী চক্রের মূল হোতা আরিফ হোসেন ওরফে মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন এবং ৫০ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ভোরে ডবলমুরিং থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ছিনতাইকারী আরিফ হোসেন ওরফে মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করা হয়।

এদিকে, ডবলমুরিং থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিদেশি পিস্তলসহ গ্রেফতার আরিফ হোসেন ওরফে মেহেদী হাসানের বিষয়ে জানাতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে নগর পুলিশ।

সিএমপির দামপাড়া পুলিশ লাইনসে্ মিডিয়া সেন্টারে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটায় এ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সিএমপির উপ-কমিশনার (পশ্চিম) হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়া।

তিনি বলেন, ‘ডবলমুরিং মডেল থানাধীন বারেক বিল্ডিং এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ আসামি আরিফ হোসেন ওরফে মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ইতালির তৈরি একটি ক্যালিবার ৭.৬৫ এমএম পিস্তল এবং ৫০ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।'

তিনি আরও বলেন, ‘আসামি ডবলমুরিং, পাঁচলাইশ, সদরঘাটসহ মহানগরের বিভিন্ন থানা এলাকায় চুরি, ডাকাতি ঘটনার মূল হোতা। গ্রেফতার আরিফ হোসেনের বিরুদ্ধে সিএমপির বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, চুরি, ছিনতাই, অস্ত্র ও পুলিশের ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে।’

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিকুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, 'আরিফ হোসেন একজন দুর্ধর্ষ ছিনতাইকারী। সে এতদিন পুলিশের নজরে ছিল। সে একজন পেশাদার অপরাধী এবং অস্ত্র নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়াতো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে যে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হয়েছে। এসব অস্ত্র দিয়ে সে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল বলে আমরা প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি।'

এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ডবলমুরিং থানার আওতাধীন বারেক বিল্ডিং মোড়ের একটি ফাঁকা প্লটে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ।

তখন সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী ও ডাকাত দলের সদস্যরা পুলিশ সদস্যদের ঘিরে ধরে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে চক্রের মূল হোতা আরিফ হোসেন ছুরি দিয়ে পুলিশকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। ছুরিকাঘাতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়।