২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ‘চোরাই’ ওষুধসহ দুজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। এ সময় অভিযুক্তদের সহায়তার অভিযোগে হাসপাতালে কর্মরত এক ইউনানি চিকিৎসককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শনিবার বিকালে এ অভিযান পরিচালনা করে সেনাবাহিনী।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. শাহীনুর রহমান সরদার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটক ব্যক্তিরা হলেন– উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মোল্লারহাট এলাকার মৃত আব্দুল বারেকের ছেলে হামিদুল হক এবং সদরের পাটেশ্বরী এলাকার হানিফ আলীর মেয়ে হামিদা বেগম। আটক হামিদুল শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং তিনি হাসপাতালে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
সেনাবাহিনীর কুড়িগ্রাম ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন সাফায়েত হোসেন জানান, গোপনে অভিযান চালানোর সময় হাসপাতাল চত্বর থেকে সরকারি ওষুধসহ এক পুরুষ ও এক নারীকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছে হাসপাতালের বিভিন্ন প্রকারের ৯শ ৬৫টি ট্যাবলেটসহ ওষুধ নেওয়ার ৫০টি স্লিপ উদ্ধার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর ইউনানি চিকিৎসকের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া না গেলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
আরএমও ডা.শাহীনুর রহমান সরদার বলেন, ‘চিকিৎসকের অজান্তে শর্ট স্লিপ নিয়ে ওই যুবক বিভিন্ন সময় ওষুধ উত্তোলন করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে। সেনাবাহিনী ওই যুবক ও এক নারীকে আটক করেছে। বিষয়গুলো যাচাই করতে ইউনানি অফিসারকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেছে। তার সংশ্লিষ্টতা না থাকলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ’
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শহিদুল্লাহ বলেছেন, ‘জনবল সংকটের কারণে ওষুধ চুরির ঘটনা ঘটেছে। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে সেজন্য সচেতন থাকবো।’
হাসপাতালের কারও সংশ্লিষ্টতা থাকলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জানান তত্ত্বাবধায়ক।