নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের সনিক নামে একটি কারখানায় ডায়াস্টিক মেশিন বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই জন অগ্নিদগ্ধ হয়। তাদের মধ্যে পাঁচ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারিতে খায়রুল ইসলাম নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নামাজে জানাজা শেষে নীলফামারীতে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই কারখানায় ঘটনাটি ঘটে। উত্তরা ইপিজেডের বেপজার নির্বাহী পরিচালক (ইডি) আব্দুল জব্বার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মৃত খায়রুল জেলা সদরের পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের চেংমারী গ্রামের ইয়াকুপ আলীর ছেলে।
দগ্ধ আরেক জন সৈয়দপুর উপজেলার উত্তর সোনাখুলি গ্রামের রমজান আলী (২৬) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় কারখানার শ্রমিকরা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে নীলফামারী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেন। সেখান অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক দ্রুত রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে পাঠান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকায় নেওয়া হয়।
বেপজার ইডি আব্দুল জব্বার বলেন, ‘গতকাল ঢাকার বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীেন অবস্থায় খায়রুল নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা তার চিকিৎসার জন্য ৩০ হাজার টাকা দিয়েছি। এরপর বেপজার আইন অনুযায়ী তার পরিবারের জন্য আলোচনা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
উল্লেখ্য, সনিক হংকং ভিত্তিক গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান। ২০১৩ সাল থেকে উত্তরা ইপিজেডের খেলনা ও পুতুল তৈরির কাজ করে আসছে।