নাটোরের লালপুরে গ্রেফতার হওয়া জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুবেল উদ্দিনকে থানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হকসহ চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই ঘটনায় ওই ছাত্রদল নেতা, তার দুই বোন এবং এক যুবদল নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাত থেকে বুধবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে পুলিশ বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ৩৮ জনের নাম উল্লেখসহ ১৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে।
নাটোর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন জানান, গত ১৬ ডিসেম্বর নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার জয়ন্তীপুরে বিএনপি নেতা আব্দুর রশিদের বাড়িতে গুলির ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মঙ্গলবার দুপুরে ছাত্রদল নেতা রুবেলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। ওইদিন বিকালে ছাত্রদল ও যুবদলের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী থানায় উপস্থিত হয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পুলিশকে চাপ দেন। এ সময় অসম্মতি জানালে একপর্যায়ে হট্টগোল করে থানা থেকে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান তারা।
এই ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই বাগাতিপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মানিক কুমার চৌধুরী বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ৩৮ জনের নাম উল্লেখসহ ১৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে রুবেলের দুই বোনসহ তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়। এরপর উপজেলার ঈশ্বরদী বাইপাস এলাকা থেকে ছাত্রদল নেতা রুবেলকেও গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মামলার অন্য আসামিদেরও ধরতে অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনী। লালপুর থানায় সংঘটিত ঘটনার জন্য লালপুর থানার ওসি নাজমুল হক ও দায়িত্বরত একজন উপপরিদর্শক এবং দুজন কনস্টেবলকে পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘যারা সরকারি কাজে বাধা দিয়ে আসামি ছিনতাই করেছেন তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দায়িত্ব অবহেলার কারণে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’