সাগরপথে মালয়েশিয়া যেতে চেয়েছিলেন দুই শতাধিক রোহিঙ্গা। কক্সবাজারের আশ্রয়শিবির থেকে পালিয়ে ট্রলারেও উঠেছিলেন তারা। সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে বাংলাদেশ নৌবাহিনী সেন্টমার্টিনের অদূরে বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ ধরার ট্রলারসহ তাদের আটক করে।
মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টার দিকে আইএসপিআরের সহকারী পরিচালকের পক্ষে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মোহাম্মদ রেজা-উল-করিম শাম্মী।
আইএসপিআর বলছে, সেন্টমার্টিন থেকে ৪৪ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থানরত একটি মাছ ধরার নৌকার সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ ‘বানৌজা দুর্জয়’। তাৎক্ষণিকভাবে নৌবাহিনীর জাহাজ ‘এফভি কুলসুমা’ নামের ওই মাছ ধরার নৌকার কাছে পৌঁছায় এবং এর গতিপথ রোধ করে। এ সময়ে নৌকাটিতে তল্লাশি চালিয়ে ২১৪ জন যাত্রীকে আটক করা হয়। এর মধ্যে ১১৮ জন পুরুষ, ৬৮ জন নারী এবং ২৮ জন শিশু।
আটক ব্যক্তিরা মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিক বলে জানা যায়। এর আগে ট্রলারটি সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে টেকনাফের শাপলাপুর এলাকা থেকে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করে। ট্রলারসহ মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের বাংলাদেশ কোস্টগার্ড স্টেশন সেন্টমার্টিনে হস্তান্তর করা হয়।
নৌকাটি ন্যূনতম জীবনরক্ষাকারী সরঞ্জাম, পর্যাপ্ত খাদ্য, পানি ও সুরক্ষা ব্যবস্থা ব্যতীত যাত্রা শুরু করে, যা গভীর সমুদ্রে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারতো। নৌবাহিনীর তাৎক্ষণিক ও কার্যকর পদক্ষেপে এ বিপর্যয় প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে।