রাজশাহীর বাঘায় জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের পাঁচ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে বাঘার বাউসা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে এই সংঘর্ষ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাউসা ইউনিয়ন পরিষদের অনিয়ম, দুর্নীতি ও ভিজিএফ কার্ড বাণিজ্যের প্রতিবাদে জামায়াতের আয়োজনে মানববন্ধন হচ্ছিল। এ সময় বাউসা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিমের নেতৃত্বে বিএনপিকর্মীরা মিছিল নিয়ে সেখানে এসে জামায়াত নেতাকর্মীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। এক পর্যায়ে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ। এতে উভয় পক্ষের পাঁচ জন আহত হন।
এ বিষয়ে বাউসা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি মজিবুর রহমান বলেন, ‘বাউসা ইউনিয়ন পরিষদের টিসিবি, ভিজিডি, ভিজিএফ কার্ড, তথ্যসেবা কেন্দ্রে চাঁদাবাজি এবং ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে হতদরিদ্রদের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়। বাউসা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন তার সমর্থিত লোকজন নিয়ে মানববন্ধনে বাধা দিয়ে হামলা করে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং উভয়ের মধ্যে হাতা-হাতি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার শুরু হয়।
এ বিষয়ে বাউসা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আবদুর রহমান দুই মাস আগে প্যানেল চেয়ারম্যান-১ নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে কী অনিয়ম করলেন যে এ নিয়ে তাদের মানববন্ধন করতে হবে। তাদের ব্যানার কেড়ে নিয়ে মানববন্ধন না করার জন্য অনুরোধ করেছি।’
এ বিষয়ে বাউসা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কোনও সত্যতা নেই। প্রশাসন কোনও অনিয়ম পেলে পদ থেকে সরে যাবো। ষড়যন্ত্র করে ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্তদের মান ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ ফ ম আছাদুজ্জামান বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। মানববন্ধনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। সেখানে মারামারির তেমন কিছু পাইনি। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ কোনও লিখিত অভিযোগ করেননি।’