জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ প্রমোশন কোটা বাতিলসহ মোট ৬ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম নগরীর দুই নম্বর গেট মোড়ে আড়াই ঘণ্টা সড়ক ও রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সড়ক অবরোধ করেন তারা। আন্দোলন চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত।
দুই নম্বর গেট মোড়ে সকাল থেকে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে জড়ো হন পলিটেকনিকের কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী। তারা মোড়ে জড়ো হয়ে প্রথমে সড়ক অবরোধ করেন। এরপর সড়কের ওপর বসে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
আন্দোলন চলাকালে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা ১১টা ৪০ মিনিটের পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনটি ষোলশহর এলে সেটিকে আটকে দেওয়া হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, ক্রাফট ইন্সট্রাক্টররা কারিগরি ব্যাকগ্রাউন্ডের না, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ল্যাবের সহকারী কর্মচারী। তারা মূলত অষ্টম শ্রেণি কিংবা এসএসসি পাস। তাদের ডিপ্লোমার শিক্ষক হওয়ার কোনও যোগ্যতা নেই। তারা যদি ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক হন, তাহলে ডিপ্লোমা ছাত্ররা কতটুকু শিখবেন। জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদটি শুধু ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্টদের জন্য। জেলা প্রশাসকের কাছে এবং কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে অধ্যক্ষের মাধ্যমে তারা দরখাস্ত দেবেন বলে জানিয়েছেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ৬ দফা দাবি জানিয়েছেন। দাবিগুলো হলো— জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক ডিপ্লোমা ডিগ্রি থাকতে হবে, ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরসহ সকল পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ দিতে হবে, পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের ছাত্রদের জন্য সব বিভাগীয় শহরে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় অতি শিগগিরই স্থাপন করতে হবে, কারিগরি শিক্ষা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীর চাকরির আবেদন বাস্তবায়ন করতে হবে, ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য প্রাইভেট সেক্টরে সর্বনিম্ন বেতন স্কেল নির্ধারণ করে দিতে হবে এবং জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ কোটা অনতিবিলম্বে বিলুপ্ত করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের ফলে মুরাদপুর-বহদ্দারহাটমুখী সড়ক এবং বহদ্দারহাট-মুরাদপুর থেকে জিইসিমুখী সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মজীবী এবং দূর-দূরান্তের যাত্রীরা।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আবু জাফর মজুমদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে বেলা ১২টা থেকে কক্সবাজারগামী পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকে ছিল। যার কারণে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুরোধে অবরোধ ছেড়ে দিলে দুপুর ২টার পর ট্রেন ও যানবাহন চলাচল শুরু হয়।’