কুয়াকাটায় সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিরনকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের আয়োজনে বুধবার দুপুর ১২টায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

সাংবাদিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও পর্যটনমুখী ব্যবসায়ীরা, বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ কয়েক শ মানুষ এতে অংশ নেয়।

এ সময় বক্তব্য দেন– কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার, সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু, সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী সাঈদ, বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান, জামায়াতে ইসলামীর পৌর শাখার সাবেক সভাপতি মাঈনুল ইসলাম মান্নান, পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন ঘরামী প্রমুখ।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া সাংবাদিকসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম মিরনকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে হামলা করা হয়েছে। এই হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের প্রতি আল্টিমেটাম দিচ্ছি।’ আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান তারা।

এর আগে বেলা ১১টায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিবাদ সভায় সাংবাদিকরা মিরনের ওপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচির হুমকি দেওয়া হয়।

অন্যদিকে, বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন প্রতিবাদ সভা এবং বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেয়। হামলাকারীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে বলে জানান তারা।

হামলার বিষয়ে মহিপুর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম মিরন ঢাকা থেকে রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে কুয়াকাটা পৌর এলাকায় নিজ বাসার সামনে এসে পৌঁছান। পরে গাড়ি থেকে নেমে বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। দোষীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।