খালিয়াজুরীতে ১১ বছর পর বিএনপির সম্মেলন

দীর্ঘ ১১ বছর পর ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে নেত্রকোনার হাওর এলাকা খালিয়াজুরী উপজেলা বিএনপি দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন। সম্মেলনকে সামনে রেখে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে ব্যাপক উৎসাহ ও উৎসবের আমেজ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ ২০১৪ সালে খালিয়াজুরী উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর দীর্ঘ ১১ বছর কোনও সম্মেলন করতে পারেনি দলটি। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সক্রিয় হয়ে ওঠেন তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ অবস্থায় ২৮ জানুয়ারি খালিয়াজুরী কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উপজেলা বিএনপির এ সম্মেলন। সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

খালিয়াজুরী উপজেলা বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৪২৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। সভাপতি পদে দুজন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সভাপতি প্রার্থী দুজন হলেন– উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ স্বাধীন (আনারস) এবং কৃষ্ণপুর ডিগ্রি কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল আবুল কালাম আজাদ (ছাতা)।

সাধারণ সম্পাদক পদে ৭ জন প্রার্থী হলেন– উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইদ্রিস আলী মোল্লা (মাছ),  মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান কেষ্ট, (মই), তরিকুজ্জামান তরু (ফুটবল), আসিফুজ্জামান চৌধুরী উজ্জ্বল, (মোরগ), নাজমুল হক আরিফ (তালা ), মোহাম্মদ শাহিনুর রহমান শাহীন (চশমা) এবং সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফুল মিয়া (মাইক) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তবে প্রার্থীদের মধ্যে ফুল মিয়া (মাইক) নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বলে জানা গেছে।

নির্বাচনের ভোটার শামছুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘আমরা সৎ, আদর্শবান ও ত্যাগী নেতাদেরই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত করতে চাই। যারা তৃণমূলের সাধারণ নেতাকর্মীদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকবেন সব সময়।’

সভাপতি প্রার্থী আব্দুর রউফ স্বাধীন বলেন, ‘দীর্ঘদিন পরে হলেও ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন হয়েছে। তাই আমরা স্বাধীনভাবে দলের সম্মেলন করতে পারছি। বিএনপির সম্মেলনকে ঘিরে খালিয়াজুরী উপজেলা জুড়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। আশা করি, নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে দল আরও সুসংগঠিত হবে ও শক্তিশালী হবে।’ সভাপতি পদে জয়ের ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান কেষ্ট বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার আমাদের মামলা-হামলা করে নানারকম অত্যাচার-নির্যাতন করেছে। তাদের অত্যাচারে অসংখ্য মামলার হুলিয়া মাথায় নিয়ে আমাদের পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে। তবুও আমি দলের নেতাকর্মীদের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকবো। আমি আশা করি, দলীয় নেতাকর্মীরা ভোট দিয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে আমাকে বিজয়ী করবেন।’