চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সোনামসজিদে বিজিবি-বিএসএফের সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে বিজিবির ৫৯ ব্যাটালিয়নের অধীন সোনামসজিদ বিওপির সম্মেলন কক্ষে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন রাজশাহীর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. ইমরান ইবনে রউফ এবং বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ভারতের মালদা সেক্টরের ডিআইজি অরুণ কুমার গৌতম।

বৈঠকে জানানো হয়, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে বাংলাদেশি ও ভারতীয় কৃষক ব্যতীত অন্য কেউ প্রবেশ করবে না। সীমান্তে সংক্রান্ত যেকোনও সমস্যা বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমন্বিতভাবে সমাধান করা হবে।  উভয় দেশের গণমাধ্যমে সীমান্ত সম্পর্কিত কোনও ধরনের অপপ্রচার কিংবা গুজব ছড়ানো যাবে না। এ ছাড়া উভয় দেশের স্থানীয় জনগণকে অনুপ্রবেশ ও মাদক চোরাচালান থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি উভয়পক্ষ সীমান্ত সম্পর্কিত বিষয়ে লিখিত আলোচনা করা হয়।

বৈঠকে মহানন্দা ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া ও বিএসএফের পক্ষে ১১৯ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক সুরজ সিংসহ বিএসএফের স্টাফ অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।

৫৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠক হয়। বৈঠকে সীমান্তের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। সার্বিক আলোচনায় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো– সীমান্তের ১৫০ গজের ভেতরে বাংলাদেশি ও ভারতীয় কৃষক ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশ করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘সীমান্তসংক্রান্ত যেকোনও সমস্যা বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে আলোচনা করে সমন্বিতভাবে সমাধান করা হবে। উভয় দেশের মিডিয়ার মাধ্যমে সীমান্ত সম্পর্কিত কোনও ধরনের অপপ্রচার বা গুজব ছড়ানো যাবে না। এ ছাড়া সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ ও চোরাচালান বন্ধে যথাযথভাবে দুই বাহিনীর কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয় বৈঠকে।’

এর আগে গত শনিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের চৌকা সীমান্তে গাছ কাটা ও ফসল নষ্ট করা নিয়ে সীমান্তবর্তী দুই দেশের গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে সীমান্ত এলাকার জমির ব্যাপক ফসল নষ্ট হয়। সংঘর্ষে চার বাংলাদেশি আহত হয়।