নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘একসময় খুলনা শহরে মোংলা পোর্টের অফিস ছিল। আমদানিকারক, শিপিং এজেন্টসহ সবার প্রয়োজনে আবার এই অফিসটি খুলনা শহরে ফিরিয়ে আনতে হবে। মোংলা পোর্ট খুলনার পোর্ট, তাই এটিকে বাঁচিয়ে রাখা এবং আরও কার্যকর করার দায়িত্ব সবার। এখানে কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ না করলে বন্দরটির পূর্ণ বিকাশ হবে না, এ ক্ষেত্রে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ট্যারিফ কমিয়ে আমদানিকারকদের এ বন্দর ব্যবহারে আরও আগ্রহী করে তুলতে হবে।’
উপদেষ্টা শুক্রবার সকালে খুলনা সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজের ‘৫৬ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনী ২০২৫ উদযাপন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
এ অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজ আয়তনে ছোট হলেও এটি অনেক বড় বড় ব্যক্তির জন্ম দিয়েছে। খুলনার উন্নয়নে এই কলেজের অবদান অনেক। তবে অনেক পুরনো কলেজ হিসেবে এর অবকাঠামোর যতটা উন্নতি হওয়া উচিত ছিল ততটা হয়নি।’ কলেজটি সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন জানিয়ে কলেজের উন্নয়নে অনুষ্ঠানে উত্থাপিত তিনটি দাবির বিষয়ে শিক্ষা উপদেষ্টাকে অবহিত করবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে প্রায় দুই হাজার তরুণ অকাতরে জীবন দিয়েছেন। আমাদের তরুণ প্রজন্ম যে ত্যাগ স্বীকার করেছে তা বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না। আসুন আমরা সবাই মিলে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাই।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন– ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের সিনিয়র ডিরেক্টিং স্টাফ ও সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল খান ফিরোজ আহমেদ, মোংলাবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহীন রহমান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম, বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু এবং সাবেক শিক্ষার্থী ও জাতীয় গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির সদস্য নূর খান।
সভাপতিত্ব করেন সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু তাহের মো. আনিছুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মো. তরিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির সদস্যসচিব মোল্লা মারুফ রশীদ।