ইউপি কার্যালয়ে যেতে চেয়ারম্যানকে বাধা, সংঘর্ষে আহত কমপক্ষে ২০

যশোরের কেশবপুরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ও যানবাহন ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এসএম মুনজুর রহমানের সমর্থক এবং ইউনিয়ন বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

কেশবপুর থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা থাকলেও ঘটনাস্থলে পুলিশ টহল রয়েছে। আহতদের মধ্যে ১০ জনকে কেশবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা গুরুতর নয়।

স্থানীয়রা জানান, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সুফলাকাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম মুনজুর রহমান কার্যালয়ে যেতে পারছিলেন না। তাকে বিএনপি নেতারা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। বুধবার সকালে চেয়ারম্যান সমর্থকদের নিয়ে ইউনিয়ন কাউন্সিল ভবনে অফিস করতে যান। সেখানে স্থানীয় বিএনপি নেতারা তাকে বাধা দেন। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে শান্ত করে।

পরে সন্ধ্যায় আবারও ইউপি চেয়ারম্যান মুনজুর তার সমর্থকদের নিয়ে পরিষদে গেলে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুরসহ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি করে দুর্বৃত্তরা। এতে প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন।

এ বিষয়ে সুফলাকাটি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জিএম মহিউদ্দিন স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেছেন, ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন অতর্কিত হামলা চালিয়ে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের আহত করেছেন। এ সময় তার কলাগাছি বাজারের ব্যক্তিগত অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে।

এ নিয়ে বক্তব্য জানতে সুফলাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান এসএম মুনজুর রহমানের ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ধরেননি।

জানতে চাইলে কেশবপুর থানার ওসি বলেন, ‘মূলত দুই পক্ষের মধ্যে ঘের নিয়ে দীর্ঘদিনের কোন্দল রয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন পরিষদে যান না। কোন্দলের বিষয়ে তাদের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা করা হলেও তারা মানেননি। বুধবার চেয়ারম্যান তার পরিষদে যান। সকালে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে পুলিশ তা শান্ত করে। পরে সন্ধ্যায় চেয়ারম্যানের অনুসারী এবং স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে আবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১০ জন স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। তারা বিএনপি সমর্থিত। অপরদিকে চেয়ারম্যান সমর্থিত আহতরা খুলনায় চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানতে পেরেছি। তবে সেই সংখ্যা কত জানা নেই।’

ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিশ টহলে রয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘গতকালের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’