চা-বাগান ও হাওর এলাকায় তীব্র শীত, তাপমাত্রা ১১.৯ ডিগ্রি

চা-বাগান, হাওর ও পাহাড়বেষ্টিত জেলা মৌলভীবাজারে আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তাপমাত্রা নেমেছে ১১.৯ ডিগ্রিতে। জেলাজুড়ে বেশি ঘন কুয়াশা লক্ষ করা যাচ্ছে। তবে চা-বাগান ও হাওর এলাকায় শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে।

এদিকে ঠান্ডায় কাজে বের হতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ। গরম কাপড়ের অভাবে কষ্টে পড়েছেন চায়ের জনপদের মানুষ। বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন বয়স্ক ও শিশুরা।

ভাড়াউড়া চা-বাগানের চা শ্রমিক লক্ষ্মী নায়ারণ বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে খুব বেশি শীত লাগছে। কুয়াশা বেশি থাকায় সূর্যের অলোর দেখা পাওয়া যায়নি। খুব কষ্টে আছি বাচ্চাকাচ্চা নিয়া।’

রিকশাচালক মামুন মিয়া বলেন, ‘সকালে রিক্শা চালাইতে পারি না। তারপরও পেটার জ্বালায় বের হই। রুজি না করলে পরিবার চলবে না।’

হাইল হাওরের কৃষক আকরম আলী বলেন, ‘ঠান্ডার মাঝে ধানকাটার ধুম পড়ছে। শীতের মধ্যে ধান কাটতে হয়। কাজের লোক পাওয়া যায় না।’

শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র সহকারী আনিসুর রহমান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ১১.৯, বুধবার ১২.২, মঙ্গলবার ১৩.৫, সোমবার ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এর আগে রবিবার তাপমাত্রা ১৪.৩, শনিবার ১৩.৫, শুক্রবার ১৩.৫, বৃহস্পতিবার ১৩.৬ ও বুধবার ১৩.৭ ডিগ্রি ছিল।’

শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘নানা বয়সী মানুষ সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া নিয়ে আসেন। হাসপাতালে ভর্তি কম হলেও আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেক রোগী। তার মধ্যে চা বাগানের শ্রমিক ও হাওর এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষের সংখ্যাই বেশি।’

তিনি আরও জানান, শীতজনিত রোগে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালসহ উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতালে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।