তিন দিন পর স্পিডবোটের ৩ যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার

বরিশালে কীর্তনখোলা নদীতে দুর্ঘটনার তিন দিন পর তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। রবিবার সকালে দুর্ঘটনাকবলিত স্থান সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

বরিশাল সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনাতন চন্দ্র সরকার বলেন, ‘লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা অবহিত করেন। সেখান থেকে তিনটি লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।স্বজনরা লাশ শনাক্ত করেছেন। তারা ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ নিতে চাচ্ছেন। এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

মরদেহ উদ্ধার হওয়া তিন জন হলেন– স্পিডবোটচালক আল আমিন (২৩), যাত্রী ইমরান হোসেন ইমন (২৯) ও রাসেল আমিন (২৪)।

আল আমিন ভোলা সদরের ভেদুরিয়ার উত্তর চর এলাকার মো. সিদ্দিকের ছেলে। ইমরান ভোলা সদরের ধনিয়া এলাকার শাহাবুদ্দিনের ছেলে। রাসেল পটুয়াখালী কলাপাড়া উপজেলার নেওয়াপাড়া এলাকার আজগর আলী হাওলাদারের ছেলে।

বৃহস্পতিবার বিকালে কীর্তনখোলা নদীর লাহারহাট খালের প্রবেশমুখ জনতার হাট এলাকায় লাহারহাট থেকে বরিশালগামী স্পিডবোটের সঙ্গে বাল্কহেডের এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে জালিস মাহমুদ নামে এক যাত্রী নিহত এবং তিন জন নিখোঁজ হন। ওই স্পিডবোটে মোট ১১ জন যাত্রী ছিলেন। বাকিরা সাঁতরে তীরে ওঠেন।

এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। ওই মামলায় বাল্কহেড চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।