এখনও সন্ধান মেলেনি কীর্তনখোলায় ডুবে যাওয়া স্পিডবোটের ৩ যাত্রীর

বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে স্পিডবোটের সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষে নিখোঁজ তিন যাত্রীর পরিচয় পাওয়া গেছে। তবে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের সন্ধান পায়নি ডুবুরি দল।

বরিশাল সদর নৌ-থানার এসআই ওমর ফারুক জানিয়েছেন, এ ঘটনায় দুই জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত তিন জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার বিকালে কীর্তনখোলা নদীর লাহারহাট খালের প্রবেশমুখ জনতার হাট এলাকায় লাহারহাট থেকে বরিশালগামী ওই স্পিডবোটের সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে জালিস মাহমুদ নামে এক যাত্রী নিহত এবং মানসুর আহমেদ নামে পুলিশের এক কনস্টেবলকে উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই স্পিডবোটে ১১ জন যাত্রী ছিলেন। বাকিরা সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হন।

নিখোঁজ ব্যক্তিরা হচ্ছেন– ভালার উত্তর চর ভেদুরিয়া এলাকার বাসিন্দা স্পিডবোটচালক আল আমিন, পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নোওয়াপাড়া এলাকার আজগর আলির ছেলে রাসেল আমিন (২৫) এবং বাবুগঞ্জের রহমতপুরের দুলাল দাসের ছেলে সজল দাস (৩০)।

নৌ-থানার এসআই ওমর ফারুক জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে উদ্ধার অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি। শুক্রবার এবং শনিবার অভিযান চালানো হয়। এ সময় দুর্ঘটনাকবলিত স্পিডবোট উদ্ধার করা গেলেও নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান পায়নি ডুবুরি দল।

তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে সদর নৌ-থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় গ্রেফতারকৃত বাল্কহেড চালক খালেক মাঝিসহ দুইজনকে নামধারী আসামী করা হয়েছে।

বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, ‘শুক্রবার এবং শনিবার সকাল-সন্ধ্যা ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান চালিয়েছে। ডুবে যাওয়া স্পিডবোট উদ্ধার করা সম্ভব হলেও নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।’ জোয়ার-ভাটার কারণে ওই স্থান থেকে নিখোঁজদের দূরবর্তী কোনও জায়গায় যাওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন তিনি।