সামনে হাঁটছিলেন মা, পেছনে আসতে থাকা শিশুর প্রাণ গেলো বজ্রাঘাতে

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে হঠাৎ অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে আসে ব্রহ্মপুত্র তীরবর্তী চরবাগুয়া গ্রাম। ১০ বছরের মেয়ে কাজলি আক্তারকে নিয়ে বাড়ির পাশে মাঠে বেঁধে রাখা গরু আনতে যান মা নুরিমা বেগম। দুটি গরুর একটির রশি হাতে নিয়ে সামনে হাঁটছিলেন নুরিমা। আরেকটি গরু নিয়ে পেছন পেছন ফিরছিল ছোট্ট মেয়ে কাজলি। এমন সময় ঘটে আকস্মিক বজ্রপাত। চোখ ঝলসে দেওয়া আলোর ঝলকানি আর বিকট শব্দের শেষে মা নুরিমা পেছন ফিরে দেখেন তার ছোট্ট মেয়ে আর গরুটি বজ্রাঘাতে নিথর হয়ে পড়ে আছে।

নুরিমার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলেও কাজলি আর সাড়া দেয়নি। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায়। একই বজ্রাঘাতে প্রাণ হারায় তার হাতে থাকা রশিতে বাঁধা গরুটিও। মঙ্গলবার বিকালে জেলার উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের চর বাগুয়া হকের চর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

উলিপুর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক বজ্রাঘাতে শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

কাজলি আক্তার চর বাগুয়া হকের চর গ্রামের আব্দুল কাদের-নুরিমা বেগম দম্পতির মেয়ে।

৭নং ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার আবু ছায়েম স্থানীয়দের বরাতে জানান, মঙ্গলবার বিকালে হঠাৎ অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে আসে ব্রহ্মপুত্র তীরবর্তী হকের চর গ্রাম। খানিক বিরতি দিয়ে দিয়ে আকাশে মেঘের গর্জন চলছিল। এ সময় কাজলি তার মাসহ বাড়ির পাশের জমি থেকে গরু আনতে যায়। বাড়ি ফেরার আগেই আকস্মিক বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই গরুসহ তার মৃত্যু হয়।

ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, বজ্রাঘাতে শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর ওই গ্রামে পুলিশ সদস্য পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গত সোমবার জেলার সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নে আয়নুল (৬০) ও আসাদ (৫০) নামে দুই কৃষক বজ্রাঘাতে মারা যান। এ নিয়ে গত দুই দিনে বজ্রাঘাতে তিন জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।