গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা শওকত আলী দিদার হত্যা ঘটনায় এক হাজার ৬১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার নিহতের স্ত্রী রাবেয়া রহমান বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় এই মামলা করেন।
মামলার আসামিদের মধ্যে ১১৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং ১৫০০ জন অজ্ঞাত। এই মামলায় গোপালগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি নাজমা আক্তারসহ আরও অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলার অপর আাসমিদের মধ্যে রয়েছেন– গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাব উদ্দিন আজম, সাবেক বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের মেয়ে কানতারা খান।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান বলেন, ‘মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। আমরা ঘটনার পর মামলা না হলেও সন্দেহভাজন হিসেবে ১২ জনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছি। এটিকে রাজনৈতিক হত্যা মামলা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।’
মঙ্গলবার বিকালে দণ্ডবিধির ১৪৭/১৪৮/১৪৯/৩৪১/৩০২/১০৯ ও ১১৪ ধারা উল্লেখ করা মামলায় বাদী অভিযোগে লিখেছেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী গাড়িবহর নিয়ে গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছিলেন। জিলানীর সঙ্গে বাদীর স্বামী টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়ার পথে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পাথালিয়া গ্রামের দোলা পেট্রোল পাম্পের সামনে পৌঁছালে আওয়ামী লীগের একদল সন্ত্রাসী পূর্বপরিকল্পিতভাবে গাড়িবহরে হামলা চালায়। এ সময় বহরে তার স্বামী শওকত আলী দিদারকে আসামিরা গাড়ি থেকে নামিয়ে লাঠিসোঁটা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে মহাসড়কের ঢালে ফেলে রেখে যায়।
মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে বলে জানিয়েছে।
আরও খবর: গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতির গাড়িবহরে হামলায় এক নেতা নিহত, আহত ৫০