যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া খেলাধুলায় দেশের সাম্প্রতিক সাফল্যের কথা তুলে ধরে বলেছেন, ‘আমরা অভ্যুথানের পরে দুটি বড় জাতীয় অর্জন পেয়েছি। একটি, ক্রিকেটে পাকিস্তানের সঙ্গে আমরা টেস্ট সিরিজ জয় করেছি। আর সাফ অনূর্ধ্ব ২০-এ চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এটি আমাদের জন্য ভাগ্যই বলা যায়, কারণ আমরা বেশি কাজ করার সুযোগে পাইনি। কিন্তু এর ধারাবাহিকতা যেন থাকে, সেজন্য আমি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে কাজ করে যাবো।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) মধ্যকার এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষা বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়ামে এই খেলার আয়োজন করেন।
ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার পোর্টফোলিওর সঙ্গে আসলে ক্রীড়া বিষয়টি যায়। আমাদের এই সরকারে যুবকরা যেমন আছেন, তেমনি প্রবীণরাও আছেন। প্রবীণরা কিন্তু এ ক্ষেত্রে কোনোভাবেই যুবকদের থেকে পিছিয়ে নেই। প্রধান উপদেষ্টা একজন বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্ব। তিনি ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব নন, তবে ক্রীড়া ক্ষেত্রে তার একটা প্রভাব রয়েছে। তিনি পরপর দুবার অলিম্পিক উদ্বোধন করেছেন। তিনি আমাদের স্পষ্টভাবে বলেছেন, এই খেলার যে শক্তি আছে, তা আমাদের মধ্যে উদ্দীপনা তৈরি করে।’
তিনি তরুণদের খেলাধুলায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ইদানীং দেখা যাচ্ছে স্মার্টফোনে আসক্তিসহ বিভিন্ন দিকে আমরা চলে যাচ্ছি। তাই আমাদের নিজেদের জায়গা থেকে খেলাধুলাতে অংশগ্রহণ করতে হবে।’
দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ মিনিটের এই প্রীতি ফুটবল ম্যাচে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ২-০ ব্যবধানে জয়লাভ করে। খেলার প্রথমার্ধে দাপুটে খেলায় বল দুবার জালের দেখা পেলেও অফসাইডের ফাঁদে পড়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। দু-একবার পাল্টা আক্রমণও করে বসে রুয়েট। তবে দ্বিতীয়ার্ধে নেমে কিছুক্ষণ গোলশূন্য থাকলেও পরবর্তী সময়ে প্রতিপক্ষ রুয়েটের গোলবারে বল পাঠাতে সক্ষম হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। প্রথম গোলের কয়েক মিনিটের মধ্যে গোলবারে বল পাঠিয়ে তৃতীয়বারের মতো অফসাইডের ফাঁদে পরে রাবি। তবে এর কিছুক্ষণের মধ্যে দ্বিতীয় গোলেরও দেখা পায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণকালে সভাপতির বক্তব্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি সৌহার্দপূর্ণ ফুটবল খেলা আমরা উপভোগ করলাম। বিজয়ীসহ দুই দলকেই আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন– রুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. রবিউল ইসলাম সরকার, রাবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ওবায়দুর রহমান প্রামাণিক, প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, ছাত্র উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম প্রমুখ।