ইউজিসির সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আলমগীরের অপসারণ দাবিতে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ছাত্র-কর্মচারীরা বিক্ষোভ করেছেন। রবিবার বেলা ১১টায় কুয়েট থেকে ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন’ ব্যানারে এ বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি ফুলবাড়িগেট, মহানগরীর ফুল মার্কেট হয়ে খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে পৌঁছে। সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।
সমাবেশে কুয়েট মেকানিক্যাল বিভাগের শিক্ষার্থী সাফতি আসারী সাব্বির বলেন, ‘কুয়েটের ভিসি থাকাকালে ড. আলমগীরের নির্যাতনের অন্যতম হাতিয়ার মেহেদী হাসান মদ্যপ অবস্থায় মারা যায়। সেই মাতাল ছাত্রের ম্যুরাল স্থাপন করেন ভিসি আলমগীর।’
ভিসি আলমগীরের নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থী সাজ্জাদ তানভির নাহিম। টিসিই বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জাহিদ ভিসি আলমগীরের সময়ের নির্মমভাবে নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষক আরিফ ওই সময়ে ছাত্রলীগের নির্মম নির্যাতনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেও সে রহস্য আজও উন্মোচন হয়নি।’
বর্তমান ভিসির পিএস এমদাদুল মোড়ল বলেন, ‘শিবিরের ট্যাগ লাগিয়ে নিরীহ ছাত্রদের নির্যাতন করা হয়েছিল ভিসি আলমগীরের সময়ে। ছাত্রদের কাপড়চোপড় খুলেও নির্যাতন করার নজির রয়েছে। এই জঘন্য ব্যক্তির ইউজিসির পদে থাকার সুযোগ নেই।’
শিক্ষার্থী গালিব জাহান বলেন, ‘ভিসি আলমগীর নিয়োগ বাণিজ্য ও প্রকল্পের টাকা লুটপাট করেছেন। সরকারি প্রকল্পের অর্থ তছরূপ করেছেন। তিনি ভিন্ন মত দমনে ছিলেন আগ্রাসী। তিনি কুয়েটকে ধ্বংস করেছেন। ইউজিসির চেয়ারম্যান থাকলে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষতি করবেন।’
মেকানিক্যাল বিভাগের সিনিয়র ল্যাব অ্যাটেন্ডেন্ট আতাউর রহমান বলেন, ‘ভিসি আলমগীর দলবাজ, আওয়ামী লীগপন্থি। নির্যাতনের চিত্রসহ বিচার চাইলেও তিনি ছিলেন ছাত্রলীগের পক্ষে থাকতেন নির্বিকার। সুইপার নিয়োগের ৮০ হাজার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে কর্মচারী লীগ মারপিট করেছিল। কিন্তু ভিসি আলমগীর কোনও বিচার না করে ভিন্ন মত দমন করেছেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আলমগীরকে ইউজিসির পদ থেকে সরাতে হবে। পদত্যাগ চাই।’