সড়ক দুর্ঘটনায় মা ও মামা নিহত, বেঁচে আছে সদ্যজাত শিশু

বগুড়ার নন্দীগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রসূতি যূথী আকতারের (২০) পর তার ছোট ভাই জিহাদ হোসেনও (১৮) মারা গেছেন। রবিবার দুপুরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জিহাদ। এ ঘটনায় যূথীর সদ্যজাত সন্তান সুস্থ আছে। নন্দীগ্রাম থানার ওসি আজমগীর হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

শনিবার বিকালে ক্লিনিক থেকে সন্তান নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার সিমলা বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্বজনরা জানান, নিহত যূথী আকতার বগুড়া নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাত সিমলা গ্রামের হেলাল উদ্দিনের মেয়ে। বুধবার নন্দীগ্রামের হেলথ কেয়ার ক্লিনিকে সিজারের মাধ্যমে মেয়েসন্তান প্রসব করেন তিনি। শনিবার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে যূথী তিন দিনের সন্তান নিয়ে ইজিবাইকে বাবার বাড়ি ফিরছিলেন। সঙ্গে মা জেসমিন আকতার (৪৫) ও ভাই জিহাদ হোসেন (১৮) ছিলেন। তাদের বহনকারী ইজিবাইক সিমলা বাজার এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ধাক্কা দেয়। এতে ইজিবাইকটি সড়কের পাশে উল্টে গিয়ে প্রসূতি যূথী, তার মা ও ভাই গুরুতর আহত হন। নানির কোলে থাকা শিশুটি অক্ষত থাকে। নন্দীগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মা মারা যান।

রবিবার বিকালে নন্দীগ্রাম থানার ওসি আজমগীর হোসেন জানান, অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে। নিহতদের মা জেসমিন ভালো আছেন। তিনি দুর্ঘটনায় অক্ষত নাতনিকে নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। একই পরিবারের দুজনকে হারিয়ে পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।