শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক পদক পেলেন রেহেনা বেগম

জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন রংপুরের পীরগাছা উপজেলার পবিত্রঝাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা. রেহেনা বেগম। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৩’ প্রদান অনুষ্ঠানে তার হাতে পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর আগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ স্বাক্ষরিত এক পত্রে রেহেনা বেগমের শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হওয়ার খবরটি জানা যায়। তাতে বলা হয়, পবিত্রঝাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তার সৃজনশীল কর্মকাণ্ড ও গৃহীত পদক্ষেপ সব মহলে প্রশংসিত হয়েছে। যার জন্য তাকে প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০২৩-এর শ্রেষ্ঠ শিক্ষক (সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়) ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে অসামান্য অবদান, খেলাধুলা, সংগীত, বিদ্যালয় পরিচালনা, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় কৃতিত্ব অর্জনকারী প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি ও শিক্ষার্থীসহ ১২৬ জনের হাতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পদক তুলে দেওয়া হয়।

রেহেনা বেগম ২০০৬ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভিদবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ২০০৭ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন।

রেহেনা বেগম বলেন, ‘আমি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি কো-কারিকুলামের ওপর গুরুত্ব আরোপ করি, যা তাদের সার্বিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। স্কুলের বাচ্চাদের নিজের সন্তানের মতো মনে করি। তাদের ঝরে পড়া রোধ, পড়াশোনায় মনোযোগী করা, সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে উদ্বুদ্ধকরণ, নৈতিক মূল্যবোধের শিক্ষাসহ নানাবিধ কর্মকাণ্ডে নিজেকে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত করেছিলাম। যার স্বীকৃতিস্বরূপ আমি জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষকের পদক পেয়েছি। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন, যেন সুস্থ থেকে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারি।’

পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল হক সুমন বলেন, ‘মোছা. রেহেনা বেগম শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক পদক পাওয়ায় তাকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। তিনি পীরগাছাবাসীর মুখ উজ্জ্বল করেছেন। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে পীরগাছার সব শিক্ষক আরও ভালো করবেন সেই প্রত্যাশা করছি।’