নির্বাচন পরবর্তী ‘প্রতিশোধমূলক’ হামলা ও নির্যাতন বন্ধ করে সদর উপজেলায় অবাধ যাতায়াতের সুযোগ চেয়ে মানববন্ধন করেছেন কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলায় মোহনগঞ্জ ইউনিয়নবাসী। বুধবার (১২ জুন) সকাল ১১টার দিকে মোহনগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সামনের সড়কে শত শত নারী-পুরুষ মানববন্ধনে অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোহনগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা আরিফুল কবির তালুকদার রানা প্রার্থী হন। মোহনগঞ্জবাসী তার সমর্থনে নির্বাচনে কাজ করে। কিন্তু তিনি পরাজিত হওয়ায় বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিউল আলমের কর্মী-সমর্থকরা মোহনগঞ্জবাসীকে উপজেলা সদরে প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। প্রাণনাশের হুমকিসহ নানাভাবে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেন বক্তারা।
বক্তারা আরও বলেন, ‘গত সোমবার (১০ জুন) সকালে মোহনগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য শাহ আলম রাজিবপুর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে গেলে বিজয়ী উপজেলা চেয়ারম্যানের কয়েকজন অনুসারী তাকে ধাওয়া করে। তিনি কোনও রকমে পালিয়ে নিজেকে রক্ষা করেন। মূলত নির্বাচনে প্রতিপক্ষের হয়ে কাজ করায় ওই ইউপি সদস্যকে ধাওয়া করা হয়।’ বক্তারা উপজেলা সদরে সর্বসাধারণের নির্বিঘ্নে যাতায়াতের পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানান।
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার জিহাদি বলেন, ‘যার ভোট তিনি যাকে খুশি তাকে দিয়েছেন। কিন্তু নির্বাচনে একটা কৌশলের মাধ্যমে তিনি (বিজয়ী প্রার্থী শফিউল আলম) চেয়ারম্যান হয়েছেন। তার আগের সেই সন্ত্রাসী আচরণ আবার শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু এখানে কোনও হিংসাত্মক কার্যক্রম আমরা করতে দেবো না। কারণ রাজিবপুরের মানুষ শান্তিকামী।’
মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ নেতা হারুন-অর-রশীদ নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান শফিউল আলমকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে চলুন। রাজনীতিকে রাজনীতির ভাষায় প্রতিবাদ করতে শিখুন। এই পেটোয়া বাহিনী দ্বারা প্রতারিত হবেন না। আমি বিশেষভাবে অনুরোধ করবো। আমাদের ধৈর্যের সীমা যেন ভেঙে না যায়।’ প্রতিপক্ষকে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে আচরণ পরিবর্তনের আহ্বান জানান তিনি।