যশোর-৩ সদর আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী কাজী নাবিল আহমেদ বলেছেন, ‘আমাদের সামনে একটাই পথ, পাকিস্তানের প্রেতাত্মা বিএনপি-জামায়াতকে প্রতিহত করতে নৌকা মার্কাকে জয়যুক্ত করতে হবে। সে কারণে আমাদের সবাইকে একযোগে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে।’
মঙ্গলবার বিকালে যশোর সদরের চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আমবটতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনি পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
পথসভায় সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ আরও বলেন, ‘আমাদের পবিত্র দায়িত্ব হচ্ছে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করে পঞ্চম বারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী করা।’
দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের সব অনৈক্য ভুলে যেতে হবে। আগামী ১১টি দিন সবাই মিলে প্রতিটি ইউনিয়নে, প্রতিটি ওয়ার্ডে যেতে হবে। সেই লক্ষ্যে সব নেতাকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। ভোটারদের বোঝাতে হবে, দেশের একমাত্র উন্নয়নের পথ, অগ্রগতির পথ, সমৃদ্ধির পথ হচ্ছে নৌকা। নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করতে সবার প্রতি আহ্বান জানাতে হবে, যেন সবাই উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে যায়।’
চুড়ামনকাটির প্রতি নিজের আত্মিক টানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার প্রয়াত বাবা কাজী শাহেদ আহমেদ এই ইউনিয়নে মুন্সি মেহেরুল্লাহ একাডেমি করেছিলেন। এখানকার অনেক গ্রামের উন্নয়নে বাবার অবদান রয়েছে। বাবার সঙ্গে অনেকেরই সুসম্পর্ক ছিল। ২৫ বছর আগে আমি বাবার সঙ্গে এখানে এসেছি, আপনাদের ভালোবাসা পেয়েছি।’ তিনি তার প্রয়াত বাবার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং সবার দোয়া চান।
পথসভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, ‘৭০ সালে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে প্রথম নৌকায় ভোট দিয়েছি, এ যাবৎ দিয়ে আসছি। আমাদের গ্রামদেশে একটি কথা প্রচলিত রয়েছে, যেসব ছেলেরা বাবার কথা শোনে না, তারা কুলাঙ্গার সন্তান। আমাদের বাবা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আমাদের দলীয় প্রধান। তিনি কাজী নাবিলকে নৌকা মার্কা দিয়ে ভোট করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমি দলের জেলা সভাপতি হিসেবে তারই নির্দেশমতো কাজী নাবিল আহমেদের ভোট করছি। দলীয় প্রধানের নির্দেশনা অমান্য করে আমি কোনও স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে ভোট করতে পারি না।’
কাজী নাবিল আহমেদকে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নৌকায় ভোট দিয়ে আমার দেশের স্বাধীনতা পেয়েছি, শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ পেয়েছি, এবার ভোট দিয়ে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই।’
নির্বাচনি এই পথসভায় সভাপতিত্ব করেন চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ হোসেন।
পথসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন– জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মেহেদি হাসান মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম আফজাল হোসেন, জেলা যুবলীগের সভাপতি মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক শেখ আতিকুর রহমান বাবু, চুড়ামনকাটি ইউপি চেয়ারম্যান মো. দাউদ হোসেন দফাদার, মহিলা লীগ সভাপতি লাইজু জামান, যুব মহিলা লীগের সভাপতি মঞ্জুন্নাহার নাজনীন সোনালী, জাহাঙ্গীর তরফদার, অশোক বোস, তানজীব নওশাদ পল্লব, তানভীন রক্সি, গিয়াসউদ্দিন মেম্বার, যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শান্ত দে প্রমুখ।
পথসভা শেষে সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলনসহ নেতৃবৃন্দ বাজার এলাকার মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময়, নৌকা মার্কায় ভোট প্রার্থনা এবং লিফলেট বিতরণ করেন।