ঘরবাড়ি নেই বগুড়ার নৌকার প্রার্থী মানিকের

বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থী তৌহিদুর রহমান মানিকের নিজস্ব ঘরবাড়ি নেই। হলফনামা অনুযায়ী তিন বছরে তার অর্থ-সম্পদ বেড়েছে দুই লাখ টাকার। নির্বাচনি ব্যয় বহনের ক্ষমতা না থাকায় তিনি আত্মীয়-স্বজনের কাছে ১৫ লাখ টাকা ধার চেয়েছেন বলে জানান।

বগুড়ার শিবগঞ্জের বানাইল এলাকার মৃত তাইবুর রহমান সরকারের ছেলে তৌহিদুর রহমান মানিক উচ্চ মাধ্যমিক পাস। পেশায় সাংবাদিক। ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর শিবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা মার্কায় বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় দফায় ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি শিবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী মতিয়ার রহমান মতিনকে পরাজিত করে আবারও মেয়র নির্বাচিত হন। এ নির্বাচনের আগে ২০২০ সালের ২৭ ডিসেম্বর দাখিল করা হলফনামায় কৃষি খাতে বার্ষিক আয় দেখান ৯০ হাজার টাকা। ব্যবসা থেকে আয় ৬০ হাজার টাকা, মেয়রের সম্মানী ভাতা দুই লাখ ৮৮ হাজার টাকা। নিজের নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং স্ত্রীর ৩০ হাজার টাকা। তার ব্যাংকে ছিল এক লাখ টাকা এবং আসবাবপত্র ৫০ হাজার টাকা মূল্যের। ২০ শতক কৃষিজমি আছে (মূল্য উল্লেখ নেই)। সব মিলিয়ে মানিকের অর্থ-সম্পদের পরিমাণ ছিল ছয় লাখ ৩৮ হাজার টাকা। আর স্ত্রীর নগদ ছিল ৩০ হাজার টাকা।

গতবার বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনটি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। জেলা জাপার সভাপতি শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ এ আসনের সংসদ সদস্য। এবারের নির্বাচনে শরিক দলকে ছাড় না দেওয়ায় শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান মানিককে নৌকার প্রার্থী করা হয়। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি দাখিল করা হলফনামায় তার বাড়িঘর উল্লেখ নেই। কৃষি খাতে আয় বছরে আগের মতো ৯০ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে। ব্যবসায় আয় আগে ৬০ হাজার থাকলেও এখন বেড়ে দুই লাখ ৬০ হাজার টাকা হয়েছে। নিজের নগদ ৫০ হাজারের স্থলে তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা হয়েছে। স্ত্রীর নগদ ৩০ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ৫০ লাখ ৮৮ হাজার ৯২৫ টাকা হয়েছে। মানিকের ব্যাংকে জমা রয়েছে এক লাখ টাকা। রয়েছে ৫০ হাজার টাকার আবসাবপত্র। স্ত্রীর ১২ লাখ টাকা মূল্যের ১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার আছে। পৈতৃকসূত্রে পাওয়া কৃষিজমি ২০ শতক উল্লেখ থাকলেও তার মূল্য উল্লেখ করা হয়নি। বর্তমানে মানিকের অর্থ-সম্পদ রয়েছে আট লাখ ৫০ হাজার ছয় টাকার। গত তিন বছরে তার অর্থ-সম্পদ বেড়েছে দুই লাখ ১২ হাজার ছয় টাকার।

নৌকা প্রার্থী তৌহিদুর রহমান মানিক জানান, নির্বাচনে ব্যয় করার মতো আর্থিক সামর্থ্য তার নেই। তাই তিনি আত্মীয়-স্বজনের কাছে ১৫ লাখ টাকা ধার চেয়েছেন। নির্বাচনে জয়লাভের ব্যাপারে তিনি সবার দোয়া চেয়েছেন।