পায়রা বন্দরে প্রথমবারের মতো নোঙর করলো ক্লিংকার-লাইমস্টোনবাহী জাহাজ

পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরে এই প্রথমবারের মতো ভিড়ল ওপিসি ক্লিংকার ও লাইমস্টোনবাহী মাদার ভেসেল। ভিয়েতনাম থেকে আসা মেঘনা গ্রুপের মালিকানাধীন ‘এমভি মেঘনা হারমনি’ নামের জাহাজটি ৫৩ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন ওপিসি ক্লিংকার এবং ১০ হাজার ১০০ মেট্রিক টন লাইমস্টোন নিয়ে নোঙর করেছে।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে বন্দরের ইনার অ্যাংকোরেজে পৌঁছায় জাহাজটি। এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর ভোরে জাহাজটি পায়রা বন্দরের ফেয়ারওয়েতে আসে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পায়রা বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের উপ-পরিচালক আজিজুর রহমান জানান, জাহাজটিতে ৪৩ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন ওপিসি ক্লিংকার এবং ১০ হাজার ১০০ মেট্রিক টন লাইমস্টোন এসেছে।

পায়রা বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মো. আতিকুল ইসলাম  বলেন, ‘কম খরচে, দ্রুততম সময়ে খালাস করা, কম দূরত্ব, নদীর সর্বোচ্চ পানির গভীরতা এবং লাইটার পরিবহনে নিরাপত্তা এবং মানসম্মত সেবার কারণে দিন দিন এই বন্দরে ভিড় বাড়ছে।’

পায়রা বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, ‘২০১৬ সালের ১৪ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ২২৯৫টি জাহাজ এই বন্দরে এসেছে। যার মধ্যে কয়লাবাহী জাহাজ ২৯১টি, অন্য জাহাজ ৮৯টি,  ৩৮০টি বিদেশি জাহাজ, ১৯১৫টি দেশি লাইটারেজ। এতে বন্দর থেকে সরকারের মোট আয় হয়েছে (ভ্যাটসহ) এক হাজার ৭৮ কোটি ১০ লাখ ৫৪ হাজার ২৩০ টাকা। দেশের সব কোম্পানি পায়রা বন্দর ব্যবহারে সহমত পোষণ করেছে। আসা করা যায় আগামী চার বছরে পায়রা বন্দর দেশের দ্বিতীয় ইকোনমিক করিডোর হবে।’

পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল গোলাম সাদেক বন্দরের ইনার অ্যাংকোরেজে জাহাজটি পরিদর্শন করার পর সাংবাদিকদের বলেন, ‘পায়রা বন্দর স্বাধীন বাংলাদেশে গ্রিন ফিল্ড পোর্ট হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। বরিশাল বিভাগের উন্নয়নে মূলত বন্দরটি কাজ শুরু করেছিল। গত বছর ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের কাজ সমাপ্ত হয়েছিল। এখন চলছে মেইনটেইনেন্সের কাজ। দেশের বড় বড় গ্রুপ অব কোম্পানি এই বন্দর ব্যবহার করতে শুরু করছে।’

এর আগে বুধবার এই বন্দরে এসেছে এলপিজিবাহী (তরল গ্যাস) মাদার ভেসেল। তিন হাজার তিনশ’ মেট্রিক টন তরল গ্যাসবাহী এই জাহাজটির নাম ‘এমভি বসুন্ধরা এলপিজি চাতকী’।