বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আজ রংপুর থেকে তারুণ্যের রোডমার্চ শুরু হলো। যতদিন এই সরকারের পতন ঘটাতে না পারবো ততদিন রাজপথে থাকবো।’ শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা সোয়া ১১টায় রংপুর নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ‘ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে তারুণ্যের রোডমার্চ’ শীর্ষক কর্মসূচির উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ঐক্যবদ্ধ। জনগণ ভোটচোর ফ্যাসিবাদী সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করছে। তাদের ক্ষমতা থেকে নামাতে হবে। এ জন্য এবার তরুণরা রাজপথে নেমেছে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করে এ সরকারে পতন ঘটনো হবে। জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। ঐক্যমতের ভিত্তিতে ৩১ দফা কর্মসূচির মাধ্যমে দেশকে দুর্নীতি ও শোষণমুক্ত করা হবে।’
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় সরকার বাধা দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। চিকিৎসকরা বলেছেন, দেশে তার আর কোনও চিকিৎসা নেই। তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠাতে। পারিবারিকভাবে এবং দলগতভাবে আমরা অনেকবার তাকে বিদেশে পাঠানোর দাবি করলেও সরকার তা মানছে না। আমাদের নেতা তারেক রহমানকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে দেশে আসতে দেওয়া হচ্ছে না।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকারের পদত্যাগের দাবিতে দেশব্যাপী আন্দোলন শুরু হয়েছে। যুবদল, ছাত্রদল আর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃত্বে রোডমার্চ শুরু হয়েছে। রংপুর থেকে এই আন্দোলন শুরু হলো। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনা, আপনি অবিলম্বে যদি পদত্যাগ না করেন, নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা না ছাড়েন– লাখ লাখ জনতার যে উত্তাল তরঙ্গ তৈরি হয়েছে সারাদেশে, সেই তরঙ্গে ভেসে যাবেন। শেখ হাসিনার পতন ছাড়া আমরা ঘরে ফিরে যাবো না।’
তারুণ্যের রোডমার্চের উদ্বোধন করে বিএনপি মহাসচিব নেতাকর্মীদের নিয়ে দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। সেখানে তারুণ্যের সমাবেশে সমাপনী ভাষণ দেবেন তিনি।