মেডিকন স্পেশালাইজড হাসপাতাল। এই হাসপাতালে নিয়মিত হয় অস্ত্রোপচার। ভর্তি আছে রোগী। আছে ইমার্জেন্সি বিভাগও। গত এক বছর ধরে কুমিল্লা নগরীর বাদুরতলা এলাকার এই হাসপাতালে কার্যক্রম চলছে। কিন্তু এই হাসপাতালের কোনও কাগজপত্রই নেই। না আছে অনুমতি। শুধু মেশিনপত্র কিনেই হাসপাতাল নাম দিয়ে এর কার্যক্রম চলছিল। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অভিযানের পর কথিত এই হাসপাতালের ভয়াবহ জালিয়াতির বিষয়টি সামনে আসে। পরে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং ওই হাসপাতাল তাৎক্ষণিক সিলগালা করে দেয় অভিযান দলটি।
জানা গেছে, কুমিল্লা নগরীর বাদুরতলা এলাকায় প্রায় এক বছর ধরে এই হাসপাতালের কার্যক্রম চলছে। কিন্তু গত এক বছরে তারা একটি আবেদনপত্র জমা দিয়েই অপেক্ষা না করে কার্যক্রম শুরু করে। ডেঙ্গু পরীক্ষাসহ প্রায় সব ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় সরকার অনুমোদিত মূল্যের তুলনায় বেশি নেওয়ার প্রমাণও পাওয়া গেছে এই কথিত হাসপাতালে।
সরেজমিন দেখা যায়, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দুটি বেড রেখেই সামনে ‘ইমার্জেন্সি’ লেখা রয়েছে। সেখানেই একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং হাসপাতালের ফার্মেসি। কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়াও হাসপাতালের যেসব সরঞ্জাম থাকার কথা তা পর্যাপ্ত ছিল না। যে কারণে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং হাসপাতালটি সিলগালা করা হয়েছে।
অভিযান পরিচালনা করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অতীশ সরকার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন– কুমিল্লা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. মেহেদী হাসান (এমওসিএস) ও ডা. মো. আবদুল কাউয়ুম (এমও কোঅর্ডিনেটর)।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘মেডিকন হাসপাতালের কোনও অনুমতিপত্র নেই। তারা অনুমতি ছাড়াই রোগী ভর্তি, পরীক্ষা ও অস্ত্রোপচার করে যাচ্ছিল। এ ছাড়াও তারা সব পরীক্ষার দামও বেশি রাখে। জরুরি বিভাগের ভেতর শুধু দুটি বেড ছাড়া আর কিছুই নেই। এমন অনিয়মের কারণে তাদের জরিমানা করা হয়েছে। হাসপাতালও সিলগালা করা হয়েছে। এখনও আমাদের অভিযান চলমান আছে।’