অটোরিকশায় মাইক্রোবাসের ধাক্কা: নিহত বেড়ে ৭

সিলেটে মাইক্রোবাস ও সিএনজি অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাতে। ঘটনাস্থলে ছয় জন নিহত হন। পরে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন আরও একজনের মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

মাইক্রোবাসে ঢাকা থেকে সাদাপাথর ভ্রমণে এসেছিলেন পর্যটকরা

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পর্যটকদের বহনকারী ওই মাইক্রোবাসটি সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কের নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের সুন্দ্রগাঁও এলাকার পিয়াইনগুল কলিম উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে চাকা ফেটে যায়। সেটি সিলেটগামী একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে দুটি বাহনই খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই এক নারীসহ ছয় জন নিহত হন।

দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাস ও অটোরিকশাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছেনিহত সাত জনের মধ্যে তিন জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন– সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের শাহজাহান মিয়ার ছেলে মো. কালন মিয়া (৩০); একই উপজেলার ৫নং উত্তর রনিখাই ইউনিয়নের বতুমারা গ্রামের ইদ্রিস আলী; কোম্পানীগঞ্জের পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের কালিবাড়ি গ্রামের মৃত আছদ্দর আলীর ছেলে কাজি মাওলানা আমির উদ্দিন। আমির কোম্পানীগঞ্জের পারোয়া-আনোয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক।

সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে এক নারীসহ ছয় জন মারা যাওয়ার পর এই হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন আরও একজনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও চার জন।’

গোয়াইনঘাট থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, মাইক্রোবাসের চাকা বার্স্ট হয়ে সিলেটগামী সিএনজি অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশার ছয় যাত্রী নিহত হন। তাদের মধ্যে ঘটনাস্থলে ছয় জনের মৃত্যু হয়। মাইক্রোবাসটিতে পর্যটকরা ঢাকা থেকে সিলেটের সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্র ভ্রমণে আসছিলেন। নিহতদের লাশ উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।