কুয়াশায় এক নৌকার ওপরে আরেক নৌকা, রক্ষা পেলেন অর্ধশতাধিক যাত্রী

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর চৌহালী-এনায়েতপুর নৌপথে অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন দুই নৌকার অর্ধশতাধিক যাত্রী। রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে এনায়েতপুর স্পার বাঁধ থেকে চৌহালী নৌপথের মাঝামাঝি স্থানে ঘন কুয়াশার মধ্যে এক নৌকার ওপর উঠে পড়ে আরেক নৌকা।

এ সময় চালকসহ অন্য যাত্রীরা দ্রুত সরে যাওয়ায় বড় ধরনের কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরে মাঝি সাঁতরে নৌকায় ওঠেন।

এনায়েতপুর থানা যুব মহিলা লীগের সভাপতি আজমেরি খাতুন এবং চৌহালীর ঘোড়জান চরের শিক্ষক শহিদুল ইসলামসহ একাধিক নৌকাযাত্রী জানান, স্পার বাঁধ ঘাট থেকে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে চৌহালী উপজেলা থেকে সদরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় সিকদারের নৌকা। ঘনকুয়াশার কারণে প্রায় একঘণ্টা ঘুরে আবার আগের স্থানেই ফিরে আসে ইঞ্জিনচালিত এই নৌকাটি। পরে পুনরায় নৌকাটি ছেড়ে যায়।

এদিকে টাঙ্গাইলের সন্তোষা ঘাট থেকে খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয় ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা ১১ যাত্রীবাহী  একটি নৌকা কুয়াশার মধ্যে নদীতে ঘুরতে থাকে। একপর্যায়ে সিকদারের নৌকাটির সঙ্গে ওই নৌকার সংঘর্ষ হয়। ১১ যাত্রীবাহী ছোট নৌকার ওপর দিয়ে উঠে যায় সিকদারের নৌকাটি। 

নৌকার যাত্রী স্থল ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, ‘ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনাকবলিত নৌকা আছড়ে পড়লেও সৌভাগ্যক্রমে সব যাত্রীকেই অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কুয়াশার সময় ঝুঁকি নেওয়া ঠিক না। আরও সতর্ক অবস্থায় নৌকা চলাচল না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’

চৌহালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন-অর-রশিদ জানান, যমুনা নদীর এই গুরুত্বপূর্ণ নৌপথের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা ও তদারকি অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া থানা ও নৌ পুলিশ নিয়মিত টহল দিচ্ছে। তবে কুয়াশার মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে নৌকা ভ্রমণকারী ও চালকদের আরও সচেতন হওয়া দরকার।