সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে চিঠি পাওয়ার বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এম এ বারী। তিনি বলেন, আমি শুনেছি গতকাল বিকালে চিঠি এসেছে। এখন তো করোনার কারনে দুপুর দুইটা-আড়াইটার মধ্যে সবাই চলে যায়। আর আজ ক্যাম্পাস বন্ধ, তাই খুলে দেখা হয়নি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে উপাচার্য বরাবর পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, উপযুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, প্রশাসনিক কারণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েল সব ধরনের নিয়োগ কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।
এর আগে, গত ২৬ নভেম্বর বর্তমান প্রশাসনে বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে আন্দোলনরত শিক্ষকরা সংবাদ সম্মেলন করে ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত আসার আগ পর্যন্ত সব ধরনের নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত রাখার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে তথ্য-উপাত্তসহ ৩০০ পৃষ্ঠার একটি অভিযোগপত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দাখিল করেন আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের একাংশ। এর পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ইউজিসি। তদন্ত কার্যক্রম শেষে কয়েকটি সুপারিশসহ মন্ত্রণালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে উপাচার্যে বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে রাবিতে সব ধরনের নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়।